যারা চাকরিজীবী, তাদের দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে অফিসে। অফিস তো আর বাসা নয় যে যখন যা খুশি আপনি খেতে পারবেন, ঘুম পেলে ঘুমাতে পারবেন বা শুয়ে-বসে টিভি দেখতে পারবেন। অফিসে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেখানে খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হয়। অফিস চলাকালীন এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না যেগুলো খেলে কাজে মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।

কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি লাগা, ক্ষুধা পাওয়া স্বাভাবিক। অনেক সময় ক্ষুধার কারণে কাজে মন দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তখন ব্যাগে থাকা চিপস-চকোলেট খেতে শুরু করেন অনেকে। কিন্তু এগুলো আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। কাজের ফাঁকে টুকটাক খাবার খাওয়ার দরকার পড়ে প্রায় সবারই। এক্ষেত্রে কোন ধরনের খাবার খেতে পারেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, অফিসে জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলাই ভালো। এ ধরনের খাবার আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার এগুলোতে তেমন পুষ্টিও নেই। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক অফিসে কাজের ফাঁকে কোন খাবারগুলো খেতে পারেন-

বাদাম এবং অন্যান্য

দিনের মূল অংশ যেহেতু অফিসে কাটে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই দুপুরের খাবার সেখানেই খাওয়া হয়। কেউ বাড়ি থেকে নিয়ে যান, কেউবা অফিসের ক্যান্টিনে খান। কিন্তু মূল খাবার ছাড়াও সারাদিন কম-বেশি ক্ষুধা লাগেই। তখন অনেকে ফাস্টফুডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার না খেয়ে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও খেতে পারেন ফলমূল এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার। দই খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো।

পানি পান করুন

সারাদিনে আমাদের অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই পানি পানের কথা মনে থাকে না। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। আপনি যদি অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে পানি পান করেন তবে তা শরীরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। পানি পান করলে দিনে অন্তত পঞ্চাশ ক্যালোরি মেদ ঝরানো সম্ভব। 

ডেস্কে বসে খাবেন না

অনেকেই কাজের চাপে কিংবা অন্যান্য কারণে ডেস্ক ছেড়ে উঠতে পারেন না। এমনকী খাবারটাও ডেস্কে বসে খেয়ে নেন। এমনটা করা যাবে না। খাওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে গিয়েই খাবার খান। এছাড়া প্রতি ঘণ্টা পরপর অন্তত দুই মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। খেয়ে উঠে সঙ্গে সঙ্গেই বসে কাজ করা শুরু করবেন না। বরং কিছুক্ষণ হাঁটুন, এতে হজম ভালো হয়।

দুপুরের খাবারে ফাঁকি দেবেন না 

অনেকে হালকা খাবার দিয়েই দুপুরের খাবার সারতে চান। এটি করা যাবে না। কারণ দুপুরের খাবার হলো দিনের তিনটি মূল খাবারের একটি। আপনি যদি হালকা নাস্তা বা স্ন্যাকস দিয়ে দুপুরের খাবার সারতে চান তবে শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছাবে না। তাই দুপুরের খাবারে স্বাভাবিক খাবারই খান। তবে খুব বেশি ভারী খাবার এসময় না খাওয়াই ভালো। কারণ বেশি ভারী খাবার খেলে ক্লান্তি বেশি লাগে।

কোমল পানীয় নয়

কাজের ফাঁকে কোমল পানীয় খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর বদলে আপনি পানীয় হিসেবে চা কিংবা কফি খেতে পারেন। তবে দিনে দুই কাপের বেশি চা কিংবা কফি না খাওয়াই ভালো।