প্রেমিকাকে সারাক্ষণ সন্দেহ করেন এমন প্রেমিকের সংখ্যা কম নয়। বিষয়টি প্রশ্রয় পেলে আরও শাখা-প্রশাখা গজিয়ে ওঠে। তাই শুরুতেই সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সন্দেহবাতিক কারও সঙ্গে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এভাবে চলতে থাকলে একটা পর্যায়ে জীবন বিষাক্ত হয়ে উঠবে। সেখান থেকে বের হয়ে আসা তখন আরও কঠিন হবে। 

অনেক মানুষ আছেন যারা নিজের ভেতরেই সমস্যা সৃষ্টি করে নেন। সন্দেহবাতিক মানুষেরাও এমন। তারা মনের ভেতর নানা দ্বন্দ্ব নিয়ে ঘুড়ে বেড়ান। সমস্যা ছাড়া থাকতে তাদের ভালো লাগে না। এমনকী ভালোবাসার সম্পর্কও তাদের কাছে নিরাপদ নয়। এক্ষেত্রে বিপরীত পক্ষের মানুষটি হন ভুক্তভোগী। বিশ্বাসের ঘাটতি হলে সেখান থেকে সন্দেহের তৈরি হতে পারে। তবে সেটি যদি অকারণে হয় তাহলে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে হবে-

সরাসরি বলে দিন

সন্দেহবাতিক স্বভাব কারোই পছন্দ নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েটি চুপ থেকে মেনে নেয় অথবা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এভাবে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই আপনাকে প্রেমিকের মুখের ওপর সরাসরি বলে দিতে হবে যে এসব স্বভাব আপনার পছন্দ নয়। এভাবে মেনে নেওয়াও আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। এতে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হবে।

বুঝিয়ে বলুন

সরসরি বলা মানে চিৎকার-চেচামেচি করে বলা নয়। এভাবে বলতে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে। এর বদলে আপনি তাকে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি ঠান্ডা মাথায় তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন তবে সমস্যার সমাধান সহজ হবে। এক্ষেত্রে কিছুটা সময় নিতে পারেন এবং কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটি চিহ্নিত করে তাকে জানান। 

কথা বেশি নয়

এমন পরিস্থিতিতে আপনি কথা যদি বেশি বলে ফেলেন তবে অনেকটাই সস্তা হয়ে যাবেন। তাই ঠিক যতটা বলা দরকার, ততটাই বলুন। তিনি যদি মানার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তবে এতেই কাজ হবে। আর যদি না মানতে চান তবে আপনার কথা তিনি মন দিয়ে শুনবেনই না। তাই নিজের জায়গাটুকু ধরে রাখুন। অযথা তার সামনে হালকা হওয়ার দরকার নেই।

একই ব্যবহার করুন

হয়তো আপনি অনেকদিন ধরে তার এই সন্দেহপ্রবণ স্বভাব সহ্য করে আসছেন। কিন্তু সহ্যের সীমা বলতে একটি বিষয় আছে। এবার আপনি তার সঙ্গে একই আচরণ করতে পারেন, যেমনটা তিনি করে আসছেন। যদিও এটি কোনো উত্তম আচরণ নয়। তবে আপনার কষ্ট কিছুটা বোঝানোর জন্য হলেও এমনটা করতে পারেন। এতে হয়তো আপনাদের সম্পর্ক ভাঙনের পথে এগোবে। তবে এমন সম্পর্ক তো টিকে থাকেই কম।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

আমাদের ভাবনা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সব সময় সঠিক নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি চান সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। তিনি অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে সঠিক পথটি বাতলে দিতে পারবেন। এতে সমস্যা মেটানো সহজ হবে। হয়তো পুরোনো তিক্ততা ভুলে সম্পর্ক আবার সুন্দর হয়ে উঠবে।