আমরা বেশিরভাগই ব্রেস্ট ক্যান্সারকে গুরুত্বের সঙ্গে নেই না, বিশেষ করে আমাদের ২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণা ও পূর্ববর্তী প্রজন্মের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বয়স ৫০ হওয়ার আগেই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিশাল ঝুঁকি রয়েছে। যদি ক্যান্সারের কারণ হিসেবে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমরা চাইলেও বদলাতে পারবো না। যেমন উত্তারিধাকরসূত্রে পাওয়া নির্দিষ্ট জিন। যাই হোক, আমরা যদি আগেভাগেই জীবনযাপনের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলি তবে তা পরবর্তীতে আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। জেনে নিন ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকার জন্য জীবনযাপনে কোন পরিবর্তনগুলো আনবেন-

স্বাস্থ্যকর ওজন ও ডায়েট

আমাদের ওজন ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণে শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি হয় যা টিউমার ও ক্যান্সার সেল বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সারা জীবন ধরে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবয় সতেজ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বুকের দুধ পান করানো

ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে করা অধিকাংশ গবেষাণায়ই দেখা গেছে যে, বুকের দুধ পান করানোর সময়টাতে নারীর ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে আসে। বুকের দুধ পান করানোর অভ্যাস ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতি বছর ৪.৩% কমিয়ে আনে।

সময়মতো সন্তান প্রসব

বয়স ৩০ এর আগেই মা হওয়া এবং সঠিক সময়ে সন্তান প্রসব করলে তা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সাধারণত, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি সেসব নারীর মধ্যে বেশি যারা তাদের প্রথম সন্তান ৩০ এর পরে জন্ম দিয়েছেন বা কখনোই সন্তানের জন্ম দেননি। ৩০ এর এবং একাধিক সন্তানের মা হলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

অ্যালকোহল ও ধূমপান বাদ দিন

অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ বা ধূমপান করার অভ্যাস ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে যদি অ্যালকোহল গ্রহণ বা ধূমপান করার অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দেন। 

ব্যায়াম

প্রতেক্যের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যায়াম বা শরীরচর্চার ওপর। যদিও কতটা ব্যায়াম করলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটুকু কমে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০-৪০ শতাংশ কমে আসে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে