ড্রাই কফ বা শুষ্ক কাশি এমন এক ধরনের বিরক্তিকর অসুখ যা এই করোনা মহামারিকালীন আরও বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। এই নেহাতই নিরীহ ও সামান্য অসুখ বর্তমানে রাস্তায়, গাড়িতে, অফিসে, রেস্টুরেন্টে সবার সামনে শুরু হলে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে ধুলোবালি, ফুলের রেণু, ঠান্ডা-গরম বাতাস, ভাইরাসের সংক্রমণ ইত্যাদি অনেককিছুর কারণেই শুষ্ক কাশির প্রকোপ বাড়ে।

শুষ্ক কাশি কখন চিন্তার বিষয়?

গবেষণায় দেখা গেছে ৬৮% করোনা পজিটিভ রোগী প্রাথমিকভাবে শুষ্ক কাশির অভিযোগ করেন। শুষ্ক কাশির পাশাপাশি আরও কিছু চিহ্ন থাকলে তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যেমন-
* জ্বর (১০০ এর উপরে)
* শ্বাস নিতে অসুবিধা
* বুকে চাপ অনুভব করা
* গলা ব্যথা
* দুর্বল লাগা
* বমি ভাব কিংবা বমি
* ডায়রিয়া
* মাথা ব্যথা।


  
যখনই শুষ্ক কাশির পাশাপাশি এই উপসর্গগুলোর সমন্বয় থাকবে তখনই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। ৩ সপ্তাহের বেশি শুষ্ক কাশির সাথে হালকা জ্বর, ওজন হ্রাস, কাশির সাথে রক্ত পড়া ইত্যাদি যক্ষ্মার লক্ষণ হতে পারে। কারও যদি হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকে, আসিডিটি সমস্যা থাকে তবে সেখান থেকেও শুষ্ক কাশি দেখা দিতে পারে। হৃদরোগ কিংবা ক্যান্সারের রোগীরও শুষ্ক কাশি থাকতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়

* কাশির সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। সচরাচর ব্যবহৃত কাশি নিরোধক ওষুধ সেবন করে কাশি বন্ধ করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। 
* যেসব অ্যালার্জির কারণে শুষ্ক কাশি হতে পারে (যেমন: ধূমপান, ঘর ঝাড়ু দেয়া, ধুলো ঝাড়া, ধোঁয়া, পোষা প্রাণির লোম ইত্যাদি) সেসব এড়িয়ে চলুন।
* আসবাবপত্র ও বিছানা পরিষ্কার রাখুন।
* রুম হিউমিডিফিয়ার যন্ত্র ব্যবহার করলে অনেকক্ষেত্রে শুষ্ক কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। কারণ এটি রুমের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শ্বাসনালীতে অস্বস্তি কম করে।
* মেনথল লজেন্স খেলে শ্বাসনালীর যন্ত্রণা থেকে আরাম দেয়।
* কুসুম গরম পানিতে মধু ও আদার রস, গরম স্যুপ, গরম লিকার চা ইত্যাদি কাশি সারাতে সাহায্য করে।
* গরম পানিতে গার্গল করতে পারেন।
* বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।

এইচএন/এএ