গরম সবে পড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যেই নানারকম অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে গরমের সময়টা একটু বেশিই বিপজ্জনক। অতিরিক্ত গরমে প্রায়ই দেখা দেয় হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের সমস্যা। হিট স্ট্রোকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আপনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

হিট স্ট্রোক কী?

আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান করলে পানি ও লবণের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তখন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে দেহের তাপমাত্রা যদি ১০৫ ডিগ্রী ফারনহাইটের উপরে চলে যায় তখন একে হিট স্ট্রোক বলে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ

* শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা ( ১০৫ ডিগ্রী ফা এর উপরে)
* দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস 
* নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত
* রক্তচাপ কমে যাওয়া
* মাথা ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, মাথা ঘোরা 
* দুর্বলতা
* খিঁচুনি
* বমি বমি ভাব
* অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়

* হালকা, ঢিলেঢালা, সুতি পোশাক পরা
* রোদের উত্তাপ যেই সময়টাতে বেশি থাকে (বিশেষকরে বেলা ১১.০০ তা থেকে বিকাল ৩.০০ টা) সেই সময়ে প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা।
* বাসার বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা।
* প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল যেমন- খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি, ডাবের পানি, ঘোল ইত্যাদি পান করুন।
* দিনে ২ বার গোসল করুন।
* মৌসুমি ফল ও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
* সহজপাচ্য খাবার খান।

কারও হিট স্ট্রোক হলে যা করবেন

* রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। সম্ভব হলে ফ্যান/এসি ছেড়ে দিন।
* পরিধেয় কাপড়টি ঢিলে করে দিন, সম্ভব হলে খুলে দিন।
* শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন।
* রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাবার স্যালাইন দিন
* যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

এইচএন/এএ