শুকনো পাউরুটি কিংবা টোস্টের সঙ্গে খাওয়া হয় জ্যাম অথবা জেলি। এতে শুকনো খাবার খাওয়ার কষ্ট যেমন কমে, বাড়ে স্বাদও। অনেকের কাছেই মনে হতে পারে, জ্যাম আর জেলি বুঝি একই। দেখতে একই মনে হলেও আসলে এই দুই খাবারের মধ্যে রয়েছে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য। জ্যাম ও জেলির নাম পাশাপাশি উচ্চারিত হলেও আসলে এগুলো একরকম খাবার নয়। এদিকে এই দুই খাবার তৈরিতে উপাদান প্রয়োজন পড়ে প্রায় একই ধরনের। তবু জ্যাম ও জেলি নাম কেন আলাদা? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

জেলি কেন বলা হয়

ফল কিংবা সবজির রস দিয়ে তৈরি হয় জেলি। তাইতো জেলি তৈরি করার পর দেখতে বেশ স্বচ্ছ লাগে। এর কারণ হলো, এতে শুধু স্বচ্ছ রস ব্যবহার করা হয়, ফল বা সবজির শাঁস ব্যবহার করা হয় না। জেলি কিন্তু রসের মতো তরল হয় না। জমাট বাঁধলেই কেবল তাকে জেলি বলা যায়। অর্থাৎ জমাট বেঁধে থাকাই হলো এর বৈশিষ্ট্য। আপনি যে পাত্রে জেলি তৈরি করবেন বা তৈরির পরপরই ঢেলে রাখবেন, জমাট বাঁধার পর জেলি কিন্তু সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। পাউরুটি কিংবা টোস্টের সঙ্গে খাওয়ার সময় সেখান থেকে পরিমাণমতো কেটে নিতে হবে।

যে কারণে জ্যাম বলা হয়

জ্যাম কিন্তু জেলির মতো জমাট বেঁধে থাকে না, অনেকটা থকথকে ধরনের হয়। এটি জেলির মতো কেটে খেতে হয় না, চামচ দিয়ে তুলেই খাওয়া যায়। জ্যাম তৈরিতে জেলির মতো ফলের রস ব্যবহার করা হয় না, যেকোনো আস্ত ফল ভালোভাবে পিষে তৈরি করা হয়। আর এ কারণে জ্যাম তৈরির পরে তাতে ফলের কুচি থেকে যায়। যা খাওয়ার সময় মুখে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই জ্যাম জেলির মতো মসৃণ ও স্বচ্ছ হয় না। ভেতরে দানা দানা থাকে বলেই জেলির থেকে জ্যাম আলাদা।

খাদ্যগুণ যদি বিচার করা হয় তবে জ্যাম ও জেলির উপকারিতা প্রায় সমান। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এর কোনোটিই বিশেষ উপকার বয়ে আনে না। বরং যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জেলি কিংবা জ্যাম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বৈশিষ্ট্য আর স্বভাবে মিল বেশি বলেই জ্যাম আর জেলিকে গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই।

এইচএন/এএ