বর্তমানে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফ্যাটি লিভারের আরেকটি নাম হলো হেপাটিক স্টেটোসিস। লিভারে চর্বি জমে লিভারের ক্ষতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাকেই ফ্যাটি লিভার বলা হয়। আপনার জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

দিল্লির প্রাইমাস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ আভাই সিং ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু খাবার এবং কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভার দূরে রাখতে করণীয়-

সুষম খাবার খান

স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার থেকে দূরে থাকা সম্ভব। প্রচুর ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর চর্বি খান। অ্যালকোহল, অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজা খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

ফ্যাটি লিভার রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে। সুতরাং এই রোগ থেকে বাঁচার অন্যতম সেরা কৌশল হলো ওজন কমানো। সেজন্য যে খুব বেশি ওজন কমাতে হবে, এমন নয়। শরীরের মোট ওজনের প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে আনলেই উপকার পাবেন। তাই ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে বের করুন।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভারের রোগ হতে পারে। অল্প চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করুন এবং এর পরিবর্তে কার্বোহাইড্রেট বেছে নিন যেমন গোটা শস্য, ফল এবং শাক-সবজি। এতে ফ্যাটি লিভার থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।

শরীরচর্চা

ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ওয়ার্কআউট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে পাঁচ দিন, কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মতো শরীরচর্চা করুন। দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করুন।

অ্যালকোহল বাদ দিন

অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করুন। কারণ এটি আপনার লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং ফ্যাটি লিভারের রোগকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাদ দিতে হবে।