সাজগোজ মেয়েদের একপ্রকার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলা যায়। একটু পরিপাটি না থাকলে কাউকেই দেখতে ভালোলাগে না, সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। তাইতো মেয়েরা সেজেগুজে থাকতে বেশি পছন্দ করে। আর সাজের ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই আসে লিপস্টিকের নাম। হালকা শেডের পাশাপাশি গাঢ় শেডের লিপস্টিকও অনেকের পছন্দ। তবে গাঢ় লিপস্টিক নিয়ে এক ধরনের ধারণা পোষণ করে অনেকেই। সেটি হলো, গাঢ় লিপস্টিক পরলে ঠোঁট কালো হয়ে যাবে না তো! ঠোঁট যাতে কালো না হয় সেজন্য যত্নশীল হতে হবে আপনাকেই।

ঠোঁট পরিষ্কার করুন

লিপস্টিক তুলে ফেলার পরে ভালোভাবে ঠোঁট পরিষ্কার করে নেবেন। লিপস্টিক উঠে হালকা হয়ে গেলে সেভাবেই রেখে দেবেন না। বরং লিপস্টিক ঠোঁট থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলুন। খেয়াল রাখুন, ঠোঁটের আর্দ্রতায় যেন ঘাটতি দেখা না দেয়। দিনে যতবার মুখ ধোবেন বা কুলকুচি করবেন, ততবারই মুখ মুছে নিয়ে লিপবাম ব্যবহার করবেন। এরপর প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবেন লিপস্টিক।

এসপিএফযুক্ত লিপবাম

ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহারের সময় খেয়াল করুন তাতে যেন সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ থাকে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের মতো ঠোঁটেও কালচেভাব ফেলতে পারে। এসপিএফ আপনার ঠোঁটকে রোদের কারণে কালচে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে।

ঠোঁটের এক্সফোলিয়েশন

শুধু ত্বকের ক্ষেত্রেই নয়, ঠোঁটের ক্ষেত্রেও জরুরি হলো এক্সফোলিয়েশন। লেবুর রস, মধু ও দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ভালোভাবে ঠোঁটে লাগান। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে কিছুটা চিনি নিয়ে ঠোঁটের ওপর চক্রাকারে ঘষতে হবে। এর ফলে ঠোঁটে মৃত কোষ থাকলে তা ঝরে যাবে।

টুথপেস্ট বদলে ফেলুন

ঠোঁটের যত্নে আরেকটি সহজ ও ঘরোয়া সমাধান হতে পারে টুথপেস্ট। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে চাইলে বদলে ফেলুন আপনার ব্যবহৃত টুথপেস্টটি। অনেক সময় টুথপেস্টে থাকা বিশেষ কোনো উপাদান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। ফলে ঠোঁটের রং কালচে হতে শুরু করে। তাই টুথপেস্ট বদলে দেখতে পারেন।

ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ

ঠোঁটের রং কালো হয়ে গেলে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। বরং ভালো কোনো ডার্মাটোলজিস্টের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। কারণ আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা থেকে এমনটা হলে তা জেনে নেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রতিকারের ব্যবস্থাও করতে হবে।