করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক বদলেছে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম হয়ে উঠছে আমাদের নিত্যসঙ্গী। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস সনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে সংক্রমণ কখনো বেড়েছে, কখনো কমেছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় আবারও বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এসব নিয়েই আজকের আয়োজন- 

মাস্ক

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা জারি করার পর সাধারন মানুষ মাস্ক পরা শুরু করে। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্কের বিকল্প কিছু নেই। 

হ্যান্ড স্যানিটাইজার

করোনা মহামারিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদাও বেড়েছে। এ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য বারবার হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে যাওয়ার সময় পকেটে বা ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেওয়া উচিত। এতে নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। 

পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)

পিপিই পরে কর্মস্থলে যেতে হবে-করোনা মহামারি আসার আগে বিষয়টি কল্পনাতেও ছিল না। চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। অনেক সচেতন মানুষও নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে এ পোশাক পরে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরী বা বড় বড় দোকানের বিক্রয়কর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য পিপিই পরছেন। 

শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র

এতদিন কেবল জ্বর হলে থার্মোমিটার ব্যবহার করে এসেছেন মানুষ। হাসপাতালে এবং বাসায় উভয় স্থানেই ছোট থার্মোমিটার ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু করোনা মহামারির পর মানুষ নতুন যন্ত্র সম্পর্কে পরিচিত হয়েছে সেটি হচ্ছে বড় থার্মোমিটার। বিভিন্ন স্থানের প্রবেশমুখে দায়িত্বশীলরা আপনাকে থামিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বেশি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। 

বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক, দোকান, মার্কেট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন পিপিই পরে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র হাতে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাইরে বের হওয়ার সময়ে ছোট থার্মোমিটার সঙ্গে নিলেই চলবে। 

এইচএকে/আরআর/এএ