গরমে তরমুজকে বলা যায় এক প্রকার আশীর্বাদ। কারণ এই ফলে পানি থাকে নব্বই ভাগের বেশি। তাই গরমে ঘামের কারণে শরীরে পানির যে ঘাটতি তৈরি হয় তার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে। শুধু পানির ঘাটতি পূরণ নয়, তরমুজ খেলে দূরে থাকা যায় অনেক অসুখ থেকেও। তরমুজের বীজকে বলা হয় সুপার ফুড। এই উপকারী ফল কে না খেতে চাইবে! সবাই চান মিষ্টি আর লাল টুকটুকে তরমুজ কিনতে। কিন্তু অনেক সময় বাসায় এসে তরমুজ কাটার পরে মন খারাপ হয়। কারণ তরমুজ পাকা না হওয়াতে মিষ্টি লাগে না, ভেতরের রংও থাকে ফ্যাকাসে। বাইরে থেকে দেখে ভালো তরমুজ চেনা যায় কি? একটু বুদ্ধি খাটালেই চিনে কিনতে পারবেন ভালো তরমুজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পাকা তরমুজের স্বাদ এবং রং দুটোই আলাদা। এসব তরমুজ মিষ্টি এবং ভেতরে গাঢ় লাল রং হয়। পাকা তরমুজের বাইরের অংশ গাঢ় সবুজ হয় না। বাইরের অংশ বেশি সবুজ হলে ভেতরে সাদাটে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তুলনামূলক কম সবুজ তরমুজগুলো পাকা হয়। তাই কেনার সময় এ ধরনের তরমুজ কিনতে পারেন।

তরমুজ কিনতে গিয়ে অনেকে বাইরে থেকে টোকা দিয়ে দেখেন। এটিও তরমুজ চেনার এক ধরনের পদ্ধতি। আপনি এভাবেও তরমুজ চিনে কিনতে পারেন। যে তরমুজটি কিনতে চান সেটির গায়ে টোকা দিয়ে দেখুন। শব্দ কঠিন ধরনের হলে তরমুজ ভালো বলে ধরে নেওয়া যায়। 

তরমুজ কেনার আগে সেটি হাতে নিয়ে ওজন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আকৃতির তুলনায় তরমুজটির ওজন বেশি মনে হয় তবে ধরে নেবেন এটি তাজা। এ ধরনের তরমুজ কিনলে ঠকার সম্ভাবনা কম।

তরমুজের ভেতরে অনেক বেশি গাঢ় লাল দেখলে সতর্ক হোন। কারণ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তরমুজকে গাঢ় লাল করেন। তরমুজ লাল ও বেশি মিষ্টি করার জন্য তারা এমনটা করেন। তাই তরমুজের ভেতরের রং অস্বাভাবিক দেখলে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

তরমুজ যদি ফরমালিন মেশানো থাকে তবে তা বাইরে থেকে দেখা বোঝা সম্ভব নয়। তাই বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনার পরে সেটি পরিষ্কার পানিতে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তাতে ফরমালিনের বিষাক্ততা কমবে।
 
এইচএন/এএ