রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী হলে যেকোনো ভাইরাসের পক্ষে আক্রমণ করা কঠিন হয়। তাই প্রাণঘাতী করোনাসহ সব ধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথাসহ আরও নানা রোগের হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনাভাইরাস রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। সে কারণে সাবান ও স্যানেটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, মাস্ক পরা ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। করোনা থেকে বাঁচার জন্য এমন কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-

ব্রোকলি

ভিটমিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ব্রোকলি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ব্রোকলিতে ভিটামিন এ, সি ও ই রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই ব্রোকলিকে খাবারের তালিকায় রাখেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ প্রতিরোধে ব্রোকলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

রসুন

বিশ্বে এমন কোনো রান্নাঘর খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে রসুন পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন রোগ উপশমকারী রসুন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এটি করোনাসহ একাধিক প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। সে কারণে বেশি বেশি রসুন খাওয়ার অভ্যাস রাখা উচিত। বিশেষ করে মহামারির কঠিন সময়ে রসুন খেলে করোনা থেকে বেঁচে থাকা যেতে পারে।

আদা

আদা এমন একটি মসলা যাতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি বিভিন্ন মারণরোগের প্রতিষেধক। নিয়মিত আদা খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো ও কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। করোনা মহামারি থেকে বেঁচে থাকার জন্য অনেকেই খাবারের তালিকায় আদা রাখছেন।

আমন্ড

সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথাসহ করোনার নানান উপসর্গ দেখা দিলে আমন্ড খাওয়া উচিত। ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারটিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন আমন্ড খাওয়া উচিত। তবে খুব বেশি নয়, প্রতিদিন একমুঠো আমন্ড যথেষ্ট।

গ্রিন টি

গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালবেলা অথবা বিকেলবেলায় এক কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করলে করোনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ প্রতিদিন দুই বেলা গ্রিন টি খান।

পেঁপে

পেঁপেতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জনের জন্য পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

মুরগির মাংস

মুরগির মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি-৬। করোনাসহ আরও অনেক রোগ থেকে বাঁচতে সপ্তাহে অন্তত দুদিন মুরগির মাংস খাওয়া উচিত। সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন বি-৬ দরকারী। মুরগির মাংস কোষের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। একইভাবে রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়তা করে।

এইচএকে/এইচএন/এএ