রসালো ও সুস্বাদু ফল হিসেবে তরমুজের পরিচিতি বেশ। গ্রীষ্মের এই ফল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমন উপকারীও। এতে আছে  পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি। এতে থাকা লাইকোপেন উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এতে ফাইবারের পরিমাণ কম হলেও কিন্তু পানির পরিমাণ বেশি। আবার ক্যালরি খুব কম থাকায় ওজন বাড়ারও ভয় নেই। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন তরমুজ। পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি গরমে পানিশূন্যতা ধরে রাখতে ও শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এর রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

হজমশক্তি বাড়ায়

হজমশক্তি ভালো রাখতে তরমুজ বেশ কার্যকরী। এতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় তা হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এতে আরও রয়েছে ফাইবার। ফলে তরমুজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায়। নিয়মিত তরমুজ খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। তাই হজমশক্তি ভালো রাখার জন্য খেতে পারেন এই গ্রীষ্মকালীন ফল।

ওজন কমায়

বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগলে তরমুজ খান। এটি ওজন কমাতে সহায়ক। তরমুজে পানির পরিমাণ থাকে প্রায় ৯২ শতাংশ। পাশাপাশি ক্যালরি থাকে খুবই কম। তাই ওজন কমানোর জন্য এটি হতে পারে উপকারী খাবার। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান শরীরের বিপাক ক্রিয়া সঠিক রাখে। এটি শরীর থেকে নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ও ক্ষতিকর ফ্যাট দূর করে। ফলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।

হার্ট ভালো রাখে

হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। নিয়মিত তরমুজ খেলে তা অপ্রোয়জনীয় ও ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। ফলে দূরে থাকে হার্টের অসুখও। এই ফলে থাকা সিট্রোলিন হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী। নারীর মেনোপজ হওয়ার পর ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া বা ব্যথার সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই সিট্রোলিন।

শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে

তরমুজে পর্যাপ্ত পানি থাকার কারণে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিয়ে খেতে পারেন তরমুজ। এতে আপনার ত্বক আর্দ্রতা হারাবে না। তরমুজ খেলে শরীরে পানির অভাব হয় না তাই প্রস্রাবের পরিমাণ ঠিক থাকে। ফলে চাপ পড়ে না কিডনিতে।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কতটা জরুরি সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জেনেছি। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর এ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা হয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী হলো তরমুজ। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তরমুজে আরও রয়েছে ভিটামিন বি ৬। এটি অ্যান্টিবডি গঠনে সাহায্য করে। ফলস্বরপ শ্বেত রক্ত ক্ষণিকা তৈরি হয় সঠিকভাবে। এতে থাকা ভিটামিন এ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। 

এইচএন/এএ