কখন মুখ না চালানোই ভালো? কটাক্ষ সামলাতে বুদ্ধি খাটান
সবার জীবনেই এমন কিছু সময় আসে, যখন অপমান আর কটাক্ষের তীর ধেয়ে আসে। সেই অপমান হজম করা যেমন সহজ নয়, তেমনই এর জবাব মোক্ষম জবাব দেওয়াও হয়ে ওঠে না। এছাড়া কেউ ইচ্ছাকৃত আপনাকে ছোট করে মজা পায়।
এমন পরিস্থিতিতে মাথা গরম হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে ঝগড়া বা তর্ক করে কোনো লাভ নেই। তাই সঠিক উপায়ে অপমানের জবাব দিতে জানা জরুরি। কটাক্ষ সামলাতে বুদ্ধি খাটান।
বিজ্ঞাপন
♦ যিনি অপমান করেন, তিনি সামনের জনের মনোবল ভেঙে দিতে চান। অপমানিত ব্যক্তির থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও আশা করেন তিনি, যাতে আরও কথা শোনাতে পারেন। তাই অপমানের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সময় নিন। এতে প্রতিক্রিয়া না পেয়ে এমনিতেই সামনের জন ঘাবড়ে যাবেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
♦ তারকাদের থেকেও শেখার আছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তির শিকার হতে হয় তাদের। সরাসরি অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও সামাল দিতে হয়। এক্ষেত্রে অপমানকারী ব্যক্তির দিকে আপনার চাহনিই যথেষ্ট। মুখে কিছু না বলে সামনের জনকে একদৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করুন। আপনার এই নীরবতা এবং স্থির দৃষ্টিই তাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করবে।
♦ এছাড়া বোবার কোনো শত্রু নেই বলেও প্রবাদ চালু রয়েছে। অপমানের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। সামনের জন যতই অপমান করুন না কেন, নির্বিকার থাকার চেষ্টা করুন। নিজের কাজ করে যান, অপমানের জবাব দেওয়া বা পাল্টা কিছু কথা শুনিয়ে দিতে না যাওয়াই ভালো।
♦ অজানা-অচেনা কেউ ব্যক্তি যদি অপমান করেন, সেক্ষেত্রে তার নাম জানতে চান। তার পর তাকে চালিয়ে যেতে বলুন। এতে সামনের জন ঘাবড়ে যাবেন।
♦ অপমান গায়ে না মেখে, হেসে উড়িয়ে দিতে পারলে আর কোনো প্রশ্নই থাকে না। অপমান, নিন্দাকে গঠনমূলক সমালোচনা হিসেবে দেখতে শুরু করুন। এতে মানসিক শান্তি আসবে।
এমএসএ