করোনাভাইরাস আতঙ্ককে সঙ্গী করে জীবনযাপন করতে গিয়ে সুস্থ থাকাটাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন, তারা চাইলে এগিয়ে আসতে পারেন আরও অনেকের জীবন বাঁচাতে। আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়ার পর করোনায় আক্রান্তদের প্লাজমা দান করছেন অনেকে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্লাজমা দান করা যায়। এক্ষেত্রে একমাস ব্যবধান রাখা জরুরি। তবে ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্লাজমা দান করা যায় না।

প্লাজমা দান করে অন্যের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে নিজের দিকে। আপনি যদি প্লাজমা দান করে থাকেন বা প্লাজমা দিতে চান তবে নিজের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে। সেজন্য প্রতিদিনের ডায়েট তালিকায় রাখতে হবে কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-

খেতে হবে ডিম

সুষম খাবারের তালিকায় রয়েছে ডিমের নাম। এতে রয়েছে অনেক রকম গুণ। করোনা মহামারির এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে ডিম না খেলেই নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে লোহিত কণিকা তৈরি করার জন্য ভিটামিন বি২ খুবই দরকার। এটি নতুন কোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে। ডিমে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন বি২। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খান তবে বেশ শক্তি পাবেন। মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড নামক উপকারী কোলস্টোরল পাওয়া যায় সেদ্ধ ডিমে। এগুলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট সরিয়ে দেয় এবং রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে ভালো থাকে হার্ট। ডিম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাই প্লাজমা দিতে চাইলে ডিম রাখুন পাতে। এছাড়াও চিকিৎসকের নিষেধ না থাকলে যে কেউ খেতে পারেন ডিম।

বাদাম খাবেন যে কারণে

প্রতিদিন একমুঠো বাদাম আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তিনবেলা মূল খাবারের পাশাপাশি নাস্তা হিসেবে মুখরোচক খাবার না খেয়ে খান বাদাম বা শুকনো ফল। কিশমিশ কিংবা খেজুরও খেতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অনেকটাই মিলবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়বে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। বাদামে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন। যা শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। প্লাজমা দান করার পর আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে তা পূরণে সাহায্য করবে বাদাম।

পানি ও ফলের রস

কোনো খাবারের শ্বেতসার-শর্করা কত দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায় তার পরিমাপ হলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। ফলের রসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফলের চেয়ে বেশি। এটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে খুব তাড়াতাড়ি শরীরে চলে যায়। যে কারণে ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খাওয়া বেশি ভালো। প্লাজমা দেওয়ার পর যেহেতু নিজেকে আর্দ্র রাখা জরুরি তাই পর্যাপ্ত ফলের রস বা পানি পান করুন। প্লাজমা দান করার পরবর্তী ২৪-৪৮ ঘণ্টা প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে রক্তচাপ ঠিক থাকে। 

এইচএন/এএ