বাবা-মায়ের ৫ ভুল, অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে ছোটদের
বড়দের কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে ছোটদের। বাবা-মায়ের দৈনন্দিন জীবনযাপন, কথা বলার ধরন এবং অভ্যাসের মাধ্যমেই শিশুরা সবকিছু শিখতে শুরু করে। তাই তারা ভুল বা ঠিক যা-ই করুক না কেন, তা কিন্তু বড়দের থেকেই শেখা। তাই বাবা-মায়েদের এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা তারা অজান্তেই শিশুদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন, অথচ এই অভ্যাসগুলো শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বাবা-মায়ের পাঁচটি ভুলে ছোটদের যে ক্ষতি হয় তা জেনে নেওয়া যাক—
বিজ্ঞাপন
১. অনেকেই শিশুকে বাধ্য করার জন্য বা কোনো কাজ করালে পুরস্কার হিসেবে খাবার দিয়ে থাকেন। এই অভ্যাস শিশুদের জন্য ভালো নয়। এর ফলে শিশুরা খাবারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যতে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। ফলে শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. বর্তমানের শিশুরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। পড়াশোনা, খেলাধুলা, গান বা ছবি আঁকার ক্লাস, সব মিলিয়ে তাদের রুটিন যেন এক্কেবারে বাঁধা। বাবা-মায়েরা সব সময়েই চান তাদের সন্তান যেন কোনো কিছুতেই পিছিয়ে না থাকে। তাই তারা বাচ্চাদের নানা ধরনের ক্লাস আর প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যস্ত রাখেন। এতে শিশুরা নিজেদের জন্য আর কোনো সময় পায় না। তাদের শৈশব যেন হাঁপিয়ে ওঠে। এই ভুলটা বাবা-মায়েদের একেবারেই করা উচিত নয়।
বিজ্ঞাপন
৩. বাচ্চারা যদি সংবেদনশীল হয় বা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে চায়, তবে অনেক বাবা-মাই তা মেনে নিতে পারেন না। তারা মনে করেন, ছেলেরা কাঁদবে না, আর মেয়েরা ঘরকন্নার কাজই করবে— এই ধরনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। বাবা-মায়ের উচিত নয় সন্তানদের আবেগ চেপে রাখতে শেখানো, বরং তাদের নিজেদের মতো করে বড় হতে দেওয়া উচিত।
৪. শিশুদের মন খুবই নরম হয়। তাই তাদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি করে মিশতে হয়। অনেক অভিভাবকই নিজের সন্তানের সঙ্গে অন্য বাচ্চাদের তুলনা করেন। এর ফলে ছোটদের মনে অনেক চাপ তৈরি হয়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বাবা-মায়ের এই ভুল অভ্যাসটি তাদের অজান্তেই সন্তানদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে।
৫. ডিজিটাল যুগে ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’ বা মোবাইল ব্যবহারের সময় নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেক বাবা-মা। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ট্যাবের সামনে থাকলে চোখের ক্ষতি হয়, এটা প্রমাণিত। তাই অনেকে বাচ্চাদের এসব থেকে একেবারেই দূরে রাখতে চান। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখলে তারা অনেক প্রয়োজনীয় দক্ষতা শিখতে পারবে না। এর চেয়ে বরং তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ‘স্ক্রিন টাইম’ বা নিয়ম বেঁধে দেওয়া উচিত।
এমএন