শীতকাল মানেই উৎসবের আমেজ—বিয়েবাড়ি, পিকনিক, আর সর্বত্রই থাকে এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তার ওপর পিঠেপুলি আর নতুন গুড়ের মিষ্টির আকর্ষণ তো আছেই। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যে একটু বেহিসেবি হলেই পেটের গোলমালে ভুগতে হয়। ঠান্ডার কারণে হজমের সমস্যা বাড়ে, বিশেষ করে প্রবীণরা বেশি ভোগেন।

কেন শীতে হজমের সমস্যা বাড়ে?

তাপমাত্রা কমে যাওয়া : শীতে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যায়, ফলে হজমতন্ত্রে রক্ত চলাচল কমে যায়। এতে হজমের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক নড়াচড়াও গতি হারায়।

প্রবীণদের সমস্যা বৃদ্ধি : বয়স্কদের শরীরের মেটাবলিজম এমনিতেই ধীর গতিতে চলে, তাই তাদের সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।

পানি কম পান করা : শীতকালে আমরা পানি কম পান করি, যা শরীরে পানির ঘাটতি (ডিহাইড্রেশন) বাড়িয়ে দেয়। পানির অভাবে মল শক্ত হয়ে যায় এবং এটাই কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ।

শীতের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে যা করবেন। নিচে আলোচনা করা হলো—

১. পর্যাপ্ত পানিপান করুন : শরীরে যেন পানির অভাব না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। 

২. ফাইবারযুক্ত খাবার খান : শাকসবজি, ফল এবং শস্যদানা (যেমন- রুটি, ওটস) বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখুন। 

৩. হালকা ব্যায়াম করুন : নিয়মিত হাঁটা বা যোগব্যায়াম করলে অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ে এবং হজম ভালো হয়। 

৪. ধীরে খান : খাবার ভালো করে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খান। তাড়াহুড়ো করে খেলে হজমে চাপ পড়ে। 

৫. দেরিতে ভারী খাবার খাবেন না : বেশি রাতে ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না, অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। 

৬. ইসবগুলের ভুসি খান : অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সপ্তাহে দু'দিন ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে খেতে পারেন। 

৭. সকালে গরম জল পান : ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন খালি পেটে উষ্ণ গরম জল পান করুন। 

৮. বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন : পেটের সমস্যা এড়াতে বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এমএন