আপনি সুস্থ থাকতে সব নিয়ম মেনে চলছেন—পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলছেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করছেন। তবুও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না? ফিটনেস ট্রেইনার রাজ গণপত জানান, সম্ভবত আপনি একটি জরুরি উপাদানের কথা ভুলে যাচ্ছেন, আর তা হলো ফাইবার বা আঁশ। তার মতে, ৯৫ শতাংশ মানুষই এটি এড়িয়ে যান, অথচ ওজন কমানো এবং দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্যের জন্য ফাইবার সবচেয়ে কার্যকরী ও সহজ সমাধান।

ফাইবার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একজন মানুষের শরীর ভেদে ২৫ থেকে ৪০ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন। এটি আপনার শরীরে যেসব জাদুকরী ভূমিকা রাখে।

হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ : ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে বলে ওজন কমানো সহজ হয়।

রোগ প্রতিরোধ : এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি দেয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ডায়াবেটিস ও হার্টের সুরক্ষা : রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ফাইবার ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কীভাবে ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াবেন?

খুব সহজ কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই আপনি শরীরে ফাইবারের ঘাটতি মেটাতে পারেন—

খোসাসমেত ফল : অনেক ফলের খোসায় প্রচুর ফাইবার থাকে। তাই খোসা না ছাড়িয়ে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

সবুজ শাকসবজি : প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি যুক্ত করুন। 

গোটা শস্য : সাধারণ চাল বা আটার বদলে ওটস, কিনোয়া, বাজরা বা ভুট্টার মতো গোটা শস্য বেছে নিন। 

ডাল ও বীজ : নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং মিষ্টিকুমড়ার বীজ বা তিসির মতো উপকারী বীজ ডায়েটে রাখুন। 

বাদাম : প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য কেবল প্রোটিন বা ভিটামিন যথেষ্ট নয়। আপনার প্রতিদিনের তালিকায় অন্তত ২৫ গ্রাম ফাইবার নিশ্চিত করুন। এটিই হতে পারে আপনার দীর্ঘমেয়াদি সুস্বাস্থ্যের আসল চাবিকাঠি।

এমএন