হাসি, রাগ, অভিমান, ঝগড়া, আপোষ ভালোবাসার সম্পর্কে থাকবেই। কিন্তু অতিরিক্ত রাগ মানুষের চিন্তা এবং মনকে বিষিয়ে তোলে। অনেক সময় রাগ নষ্ট করে দেয় সম্পর্কের গভীরতা। তাই রাগ না করে ভালোবাসার মানুষকে ভালোভাবে সমস্যার ব্যাপারে বুঝিয়ে বললে অনেক অপ্রীতিকর ও জটিল পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।

আজ আপনাদের বলবো কীভাবে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে রাগ সামলে চলবেন সেই বিষয়ে। আসুন জেনে নেয়া যাক- 

আবেগকে কম গুরুত্ব দিন

বেশিরভাগ মানুষ আবেগ সামলে রাখতে না পারায় যেকোনো জায়গায় রেগে যায়। এর ফলে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থায়ী হয় না। প্রতিটি মানুষের মনে রাখতে হবে, রাগ সমাধানের চেয়ে সমস্যাই সৃষ্টি করে। অনর্থক রাগের কারণে ভেঙে যায় অনেক সম্পর্ক। তাই সাময়িক আবেগকে প্রশ্রয় না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

পরস্পরকে সম্মান করুন 

বেশিরভাগ ভালোবাসার সম্পর্ক স্থায়ী হয় না অপরজনকে না বোঝার কারণে। সঙ্গীকে সম্মান করলে এই সমস্যা তৈরি হয় না। আর তাই আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে আগে উপলব্ধি করুন, সম্মান করুন। তার মতামতকে গুরুত্ব দিন। 

মূল্যায়ন করুন ভালোবাসার মানুষকে

ভালোবাসার মানুষকে মূল্যায়ন করুন। তার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা বলুন এবং তার কথা শুনুন। অনেক সময় দেখা যায় অযথা রাগ থেকে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। তাই ভালোবাসার মানুষকে মূল্যায়ন করুন। 

ধৈর্যশীল থাকুন

ভালোবাসার মানুষ রেগে গেলে ধৈর্যশীল থাকা একটি গুণ। অনেক সময় ভালোবাসার মানুষ কোনো বিষয়ে কটূক্তি করলে সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন অপরজন। এতে সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। তাই সম্পর্ককে সহজ রাখার জন্য ধৈর্যশীল থাকাই সবচেয়ে বড় গুণ। 

নিজের অপারগতার কথা বলুন

যখন আপনার ভালোবাসার মানুষ শান্ত হবেন তখন তার কাছে আপনার অপারগতা ও অসামর্থ্যের কথা বলুন। এতে দুজনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। আপনার কাছ থেকে ভালোবাসার মানুষ যা চাইছেন তা যদি আপনি দিতে না পারেন তাহলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। 

প্রভাবে রাখুন, নিয়ন্ত্রণে নয়

ভালোবাসার মানুষের মধ্যে আপনার প্রভাব রাখুন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না। এতে তার মধ্যে অহংবোধ জেগে উঠবে। এটি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, বরং পরিচর্যা করতে হয়। সে কারণে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাওয়া নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। 

এইচএকে/এইচএন/এএ