করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার প্রচেষ্টা হিসেবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়িতে থাকছেন। কেউবা আটকা পড়েছেন বাড়ি থেকে দূরে, কেউ বিদেশে। বন্ধু-বান্ধব থেকে দূরে. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অনেকদিন। এমন অবস্থায় একাকিত্ব ভর করা কিংবা মন খারাপ লাগা খুব স্বাভাবিক। লকডাউনের এই সময়ে তাই অনেকে জড়িয়েছেন প্রেমের সম্পর্কে। নিজের একাকিত্বকে ভাগ করে নিতে গিয়ে প্রথমে বন্ধুত্ব, ভালোলাগা এরপর ভালোবাসায় জড়িয়ে গেছেন কেউ কেউ। অনলাইনেই দু’জনের যত আলাপচারিতা। মুখোমুখি বসে এককাপ কফি খাওয়ার মতো ভাগ্যও হয়নি এখনও। কারণ দু’জনেই যে আটকে আছেন লকডাউন নামক বেড়াজালে!

লকডাউন একসময় উঠে যাবে, পৃথিবীও স্বাভাবিক হবে আবার। এই যে হঠাৎ জড়ানো, না দেখেই ভালোবাসা- এই সম্পর্ক নিয়ে কতদূর যাওয়া যাবে? পৃথিবী মুক্ত হলে এই সম্পর্ক এমনই সুন্দর থাকবে তো? না-কি একাকিত্ব কাটানোর মাধ্যম হিসেবেই থেকে যাবে। এমন সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে এবং সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত থাকলে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি। নিজেকেই করুন এই প্রশ্নগুলো-

তার সঙ্গে সারা জীবন কাটানো যাবে?

এই সময়ে সবাই কম-বেশি চাপের মধ্যে পার করছেন। নানা রকম কষ্টের অভিজ্ঞতা জমা হচ্ছে ঝুলিতে। তাই ভবিষ্যতের কোনোকিছু নিয়েই হেলাফেলা করা যাবে না। যেকোনো সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তে নিতে হবে। প্রেম করতে ইচ্ছে হলো তাই করলাম, এমন মানসিকতা থাকলে তা বাদ দিন। বরং ভেবে দেখুন, তার সঙ্গে সারা জীবন কাটানো সম্ভব কি না। কোনো সিদ্ধান্তই আবেগের বশে নেবেন না।

সিদ্ধান্ত কি হতাশা থেকে নেওয়া?

মহামারিতে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে গেছে, অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কেউ কেউ ভুগছেন গভীর হতাশায়। সেই হতাশা থেকে বের হওয়ার জন্য প্রেমের সম্পর্কে জড়াননি তো? প্রেম কিংবা বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত হতাশা থেকে নেওয়া উচিত হবে না। আগে ভালোভাবে লক্ষ করুন, সিদ্ধান্ত কি সঠিক?

দু’জনের ভালো স্মৃতি কতখানি?

আপনারা হয়তো ছয় মাস বা এক বছর ধরে সম্পর্কে আছেন। যদিও সামনাসামনি দেখেননি একে অপরকে। হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই আলাপ। এখন আপনারা বিয়ের কথা ভাবছেন। এবার চিন্তা করে দেখুন, আপনাদের মধ্যে যতদিন ধরে কথা হচ্ছে তার মধ্যে ভালো স্মৃতি কতখানি? তাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা যায় কি? ভুল বোঝাবুঝির সংখ্যা বেশি না বুঝতে পারার? এই হিসাবগুলো মিলিয়ে নিন। 

আপনারা কি পরস্পরের পরিপূরক?

আপনারা কি কথা না বলে বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না? যখন-তখন তার সঙ্গে গল্প করতে ইচ্ছা হয়? দুজনের মানসিকতা অনেকটাই কাছাকছি? তার কাছে নিজেকে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে না? আপনারা একে অপরের প্রিয় বন্ধু? যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ‌‘হ্যাঁ’
হয়, তবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

এইচএন/এএ