নারী পুরুষের একে অপরের প্রতি আকর্ষণ উভয়ের স্বভাবজাত। যে সময় থেকে পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ও প্রথম নারী একসঙ্গে অবস্থান করেছেন সেই সময় থেকে নরনারীর একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব শুরু হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিশার ও তার দল ভালোবাসাকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এই তিন ভাগ হলো কাম, আকর্ষণ ও আসক্তি। এগুলো হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। 

কামের ক্ষেত্রে মানুষের সেক্স হরমোন টেসটোসটেরন ও ইসট্রোজেন, আকর্ষণের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ডোপামিন ও নোরিপাইন এবং আসক্তির ক্ষেত্রে অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে পুরুষের কোন বৈশিষ্ট্য নারীকে মুগ্ধ করে তোলে আজ আপনাদের সেই বিষয়ে বলবো। আসুন জেনে নেয়া যাক- 

ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য

প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব রয়েছে। মানুষ হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শী পুরুষকে নারীরা একটু বেশি পছন্দ করে থাকেন। যেমন হতে পারে লেখালেখি কিংবা সংস্কৃতিচর্চা। তাই আপনি যে নারীকে পছন্দ করেন সেই নারীর পছন্দ, অপছন্দ জেনে নিন। তারপর সেই মোতাবেক তার সঙ্গে গল্প করবেন। স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী পুরুষকে নারী অনেক পছন্দ করে। 

আকর্ষণীয় শখ বা পরিকল্পনা

যেসব পুরুষ জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করে থাকেন সেসব পুরুষকে নারীরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আপনার যদি এমন কোনো শখ থাকে তাহলে আপনাকে অনেক নারী গোপনে পছন্দ করে থাকতে পারে। যেমন হতে পারে ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহের শখ। 

বন্ধু হওয়া

কোনো নারীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। এতে বোঝা যাবে সেই নারীর মানসিকতা সম্পর্কে। আর নারীরা অপরিচিত কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান না। নারীরা কোনো পুরুষকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে বন্ধুকেই প্রাধান্য দেয়। 

গোপন কথা বলুন

যেসব পুরুষ নারীদের সঙ্গে তাদের গোপন কথা বলে বা পরামর্শ করে সেসব পুরুষকে নারীরা অনেক বেশি বিশ্বাস করেন। নারীদের সঙ্গে গোপন কথাগুলো বললে নারীরা পুরুষের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। 

আত্মবিশ্বাস ও সততা

আত্মবিশ্বাসী পুরুষদের বেশি করে গুরুত্ব দেয় নারীরা। যাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে নারীরা তাদের পছন্দ করেন না। আর সদ গুণাবলীর অভ্যাস যেসব পুরুষের রয়েছে নারীরা সেসব পুরুষের প্রেমে পড়ে।

এইচএকে/এইচএন/এএ