পবিত্র ঈদুল আজহা আর ক’দিন পরেই। ঈদ মানেই বাড়তি আয়োজন, বাড়তি কাজ। ঈদের নামাজ, পশু জবাই থেকে শুরু করে কাটাকুটি, মাংস ভাগ করা, যার যার ভাগ বুঝিয়ে দেওয়া, মজাদার সব খাবার রান্না করা, বাড়িতে অতিথি এলে তাদের আপ্যায়ন করা, নিজে একটু পরিপাটি থাকা- একদিনে সারতে হয় অনেকগুলো কাজ। একদিনে সব কাজ সামলাতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক নয়। তাই কিছু কাজের প্রস্তুতি আগেভাগে নিয়ে রাখলে ঈদের দিনের কাজগুলো অনেকটা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা

কোরবানির পশু কিনে আনার পর তার নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করুন। এরপর কোথায় জবাই হবে, কে জবাই করবেন এসবকিছু আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। এতে কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। জবাইয়ের পরে কাটাকুটির জন্য যদি কাউকে দরকার হয়, তাকেও আগে থেকে বলে রাখুন। প্রয়োজনের সময় মানুষ না পাওয়া গেলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। তাই এমন কাউকে বলে রাখুন, যিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।

পরিচ্ছন্নতা

কোরবানির সময় একটি বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হয়, সেটি হলো পরিচ্ছন্নতা। এসময় কোরবানিকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। ছড়াতে পারে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুও। তাই এসব বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখুন। পশু জবাইয়ের পর যেন বর্জ্য জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। 

মসলাপাতি

ঈদের দিনের অন্যতম অংশ হলো রান্না। রান্নার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে রাখা যায় যদি আগে থেকে কিছু কাজ সেরে রাখা যায়। যেমন ধরুন, রান্নার জন্য যেসব মসলাপাতি দরকার, তা আগে থেকে গুছিয়ে বা তৈরি করে রাখতে পারেন। যেসব মসলা গুঁড়া করা দরকার সেগুলো গুঁড়া করে, যেগুলো বেটে রাখা দরকার সেগুলো বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন। এতে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে সব মসলা পেয়ে যাবেন। রান্না হবে অনেকটাই সহজ। 

আপ্যায়ন

ঈদের দিনে অতিথি আপ্যায়নের একটি পর্ব থাকে। বাড়িতে অতিথি এলে তাদের আপ্যায়ন করতে হবে। এছাড়া উৎসবের দিন নিজেদের জন্যও ভালো খাবারের ব্যবস্থা থাকে। তাই কিছু খাবার আগের দিনই তৈরি করে রাখুন। যেমন ফিরনি, পায়েস, পুডিং আগের দিন তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। যেসব পাত্রে পরিবেশন করা হবে সেগুলো আগে থেকেই ধুয়ে-মুছে রাখুন।

ঘর গোছানো

ঘর গোছানো, পরিপাটি করে সাজানোও উৎসবের অংশ। ঈদের উৎসবে সবচেয়ে ভালো চাদরটি বিছানায় শোভা পাক, সবচেয়ে ভালো পর্দাগুলো টাঙিয়ে দিন দরজা-জানালায়। বাড়ির সব জায়গা থাকুক পরিচ্ছন্ন। যেন ঘরের দিকে তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়।

নিজের দিকে খেয়াল রাখুন

সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে খেয়াল রাখার কথা ভুলে যাবেন না। নিজে পরিপাটি থাকুন, ঈদের দিন সতেজ ও সুস্থ থাকুন। সব কাজ সামলাতে গিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে বেখেয়ালি হবেন না। সময়মতো খাবার খান। উৎসবে যেহেতু ভারী খাবার বেশি থাকে, তাই স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। শরীরের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এইচএন/এএ