করোনাভাইরাস মহামারির আতঙ্কের সঙ্গে যোগ হয়েছে ডেঙ্গুর ভয়। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও কম নয়। এই রোগের জন্য দায়ী এডিস মশা। এই মশা কামড়ালে হতে পারে ডেঙ্গু। প্রতিবছর বর্ষাকালে বাড়ে এর প্রাদুর্ভাব। ডেঙ্গুর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, পেশি ব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। এতে আক্রান্ত হলে তা বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মেনে চলতে পারেন কিছু সাবধানতা-

পানি যেন জমে না থাকে

মশার বংশবিস্তারের সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থান হলো জমে থাকা পানি। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে। তা অপসারণ করতে হবে। কোনো রকম জলাবদ্ধতা হতে দেওয়া যাবে না। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে জমে থাকা পানি অপসারণ করুন। অনেকে গাছের টবে অতিরিক্ত পানি দিয়ে রাখেন। এমনটা করা যাবে না।

মশা তাড়ানো গাছ রাখতে পারেন

মশা দূরে রাখার জন্য যেসব চেষ্টা করতে পারেন তার মধ্যে একটি হলো গাছ লাগানো। এটি একটি কার্যকরী ও স্বাস্থ্যকর উপায়। মশা দূরে রাখে এমন গাছ ঘরে ও ঘরের আশেপাশে রোপন করুন। লেমনগ্রাস, তুলসি, সিট্রোনেলা ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারেন। 

ঘরোয়া উপায়

মশা থেকে বাঁচতে বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়। ঘরে থাকা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সহজেই দূর করতে পারবেন মশা। মৃদু কর্পূর, সরিষার তেলের সঙ্গে মেশানো ক্যারোম সিড বা আজওয়াই ইত্যাদি মশা তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন। নিমের ও ল্যাভেন্ডার তেল, ইউক্যালিপ্টাস অয়েলও এক্ষেত্রে উপকারী।

ময়লার পাত্র পরিষ্কার রাখুন

বাড়িতে যে পাত্রে ময়লা রাখা হয় সেটি প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। এ ধরনের পাত্র ঢেকে রাখুন। কারণ ময়লার পাত্রে মশা বেশি থাকে। এছাড়াও ঘরের সবগুলো কোণ, বাগান, ফুলের টব ইত্যাদিও নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

মশার ওষুধ ব্যবহার

মশা তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন মলম, স্প্রে ইত্যাদি। ঘরে এবং বাইরে সব স্থানেই এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিচিত কোনো ব্র্যান্ডের হতে হবে। এগুলো শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। কারণ ভুলবশত পেটে চলে গেলে এগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে।

দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন

দিনের শেষভাগে মশা বেশি আসতে পারে। তাই এসময় দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। এতে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না। এর পাশাপাশি দরজা ও জানালায় মসকিউটো নেট লাগাতে পারেন। এটিও মশা থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে অনেকটাই। ঘুমের সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমান।

এইচএন/এএ