সবার ত্বকের ধরন একইরকম হয় না। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও ত্বক তৈলাক্ত, কারও আবার মিশ্র। আপনার ত্বকের ধরন যদি তৈলাক্ত হয় তবে ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন। সেজন্য ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আর এ কাজের জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক ফেস ক্লিনজার।

তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বাজার থেকে কিনে আনা বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত উপাদান উপকারী না-ও হতে পারে। এর বদলে নির্ভর করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে যত্নের ওপর। জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা-

গোলাপ জলের ক্লিনজার

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের জন্য উপযোগী একটি উপাদান হলো গোলাপজল। অনেকের ত্বকে অতিরিক্ত তেলের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমবে অনেকটাই। এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। গোলাপজলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ইচ্ছে হলে গোলাপজল মুখে এভাবে রেখে দিতে পারেন বা ধুয়ে ফেলতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

আমাদের ত্বকের পি এইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এতে থাকে প্রচুর ম্যালিক অ্যাসিড। যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে আরও উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন উপকারী এই উপাদান। তবে খেয়াল রাখবেন, কখনোই আপেল সাইডার ভিনিগার মুখে সরাসরি ব্যবহার করবেন না। তিন টেবিল চামচ পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে এটি পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। তিন মিনিট পর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

লেবু ও মধুর ক্লিনজার

ত্বকের যত্নে লেবু ও মধু বিশেষ কার্যকরী। এই দুই উপাদান মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্লিনজার। এটি ত্বকের তৈলাক্ততার কারণে সৃষ্ট ব্রণের সমস্যা দূর করে। সেইসঙ্গে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ক্লিনজারটি তৈরির জন্য  দুই টেবিল চামচ লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ ত্বকে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। মিনিট দশেক এভাবে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।