নিয়মিত ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। ব্যায়ামের ফলে শরীরের পেশী শক্তিশালী হয়। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার কারণে জমে থাকা মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আজ আপনাদের জানাবো কোন ৭টি ব্যায়াম আমাদের প্রতিদিন করা উচিত। 

১. ফ্র্যাংকেনস্টেইন হাঁটা

এই ব্যায়াম করার জন্য হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে পা কয়েকবার হাতের কাছে নিয়ে আসতে হবে। একটানা এভাবে না করে ব্যায়ামের মাঝখানে বিশ্রাম নেয়া জরুরি। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কয়েক মাসে ওজন কমানো সম্ভব। 

২. হিপ সার্কেলস

এই ব্যায়াম করার জন্য বড় একটি উঠান বা খোলা জায়গায় যেতে হবে। তারপর প্রথমে বাম পা একাধিকবার ঘোরাতে হবে এবং তারপর ডান পা একইভাবে ঘোরাতে হবে। এই ব্যয়ামের মাধ্যমে পেটের চর্বি দ্রুত কমে যায়। 

৩. সাইডস্টেপ ব্যায়াম

হাঁটুতে ভর দিয়ে প্রথমে বসতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে একবার ডানপাশে আরেকবার বামপাশে সরতে হবে। মাঝখানে বিরতি নিয়ে এই ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব। 

৪. ক্ল্যামশেল ব্যায়াম

মেঝেতে শুয়ে দুই পায়ের মাঝখান ফাঁকা ও বন্ধ করাই হলো এই ব্যায়ামের নিয়ম। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের মেদ কমানো সম্ভব। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে বাত ব্যথা দূর করা সম্ভব।

৫. ল্যাটেরাল স্টেপ-আপ

ল্যাটেরাল স্টেপ-আপ ব্যায়াম করার জন্য একটি টুল বা মোড়া আবশ্যক। টুল বা মোড়ার ওপর বাম পা রেখে ডান পা একবার উপরে আরেকবার মেঝের সঙ্গে রাখা এই ব্যায়ামের নিয়ম। এর মাধ্যমে মেদবৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়। 

৬. সিঙ্গেল লেগ রোমানিয়ান ডেডলিফটস

সিঙ্গেল লেগ রোমানিয়ান ডেডলিফটস ব্যায়ামে এক পায়ের সাহায্যে লাফালাফি করা একটি নিয়ম। এই ব্যায়াম করলে মেদবৃদ্ধিজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরের মেদ কমে আসে। 

৭. হিপ মার্চিং

একটি চেয়ারে বসে দুই পা নাড়ানোই এই ব্যায়ামের নিয়ম। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে বাতের ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়। নিয়ম মেনে এই ব্যায়াম করলে অল্প দিনে বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব।

এইচএকে/এইচএন/এএ