সমালোচনার অভ্যাস মানুষের স্বভাবগত। মানুষ একে অপরের সমালোচনা করতে ভালোবাসে। গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে কাজের গতি পাওয়া যায়। তবে কিছু সমালোচনা রয়েছে যেগুলো ক্ষতিকর। সমালোচনার অভ্যাস যত দ্রুত ত্যাগ করা যায় ততই ভালো। আপনাদের জানাচ্ছি কীভাবে সমালোচনার অভ্যাস ছেড়ে দেবেন সেই সম্পর্কে। 

সংশোধন করুন, পরিবর্তন করুন

নিজের মধ্যে চারিত্রিক সংশোধন গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদূরপ্রসারী। নিজের মধ্যে পরিবর্তন না আনলে সমালোচনার অভ্যাস ছাড়া যায় না। অপরের সমালোচনা করার সময় নিজের মধ্যে যেসব পরিবর্তন আনা দরকার তাই নিয়ে ভাবতে হবে। 

কথা বলার আগে ভাবুন

অপরের সমালোচনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে নিন, যা বলছেন তা কি সঠিক? আপনি যদি তার অবস্থানে থাকতেন তাহলে আপনি কী করতেন। কথা বলার আগে ভেবে নিলে অপরের সমালোচনার অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব হবে। 

বাস্তবমুখী হন

অধিকাংশ সময়ে দেখা যায়, যারা অপরের সমালোচনা করে থাকেন তারা বাস্তবতা উপলব্ধি করেন না। সমালোচনা অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে আগে বাস্তবমুখী হতে হবে। আপনার প্রয়োজন, চাহিদা ও অবস্থানের ব্যাপারে ভাবুন। 

অনুভব করুন অপরের অনুভূতি

অপরের সমালোচনা করার আগে অপরের অনুভূতি সম্পর্কে ভাবতে হবে। নিজেকে তার অবস্থানে নিয়ে গিয়ে দেখুন আপনি তার জায়গায় থাকলে কী করতেন। এমন কাজ আপনাকে সহানুভূতিশীল করে তুলবে। 

ইতিবাচক চিন্তা করুন

সমালোচনার অভ্যাস ত্যাগ করতে ইতিবাচক চিন্তা করা বাঞ্ছনীয়। ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে অনেক সৃজনশীল কাজ করতে পারবেন। 

মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান  

মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ালে অপরের সমালোচনার অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে অন্যের দোষ-ত্রুটিকে বড় করে দেখার প্রবণতা কমে আসবে। 

অপরের কাজের মূল্যায়ন করুন

অপরের সমালোচনা করার পরিবর্তে অপরের কাজের মূল্যায়ন করুন। সমালোচনার অভ্যাস মানুষকে ছোট করে তোলে। আর অপরকে মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে অনেক ভালো থাকা যায়। 

সরাসরি কথা বলুন

মোদ্দা বিষয় চাওয়াকে স্পষ্ট করুন। যা বলতে চান তা অকপটে বলে ফেলুন। এর মধ্য দিয়ে আপনার চরিত্রে সরলতার গুণ ফুটে উঠবে। অপরের সমালোচনার কাজে যে সময় দিতেন সেই সময় আপনি দেবেন নিজের চাওয়াকে স্পষ্ট করে তুলতে। 

ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন

নিজে যা সমর্থন করেন বা বিশ্বাস করেন তা নিয়ে পড়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তাহলে নিজে সম্মান পাবেন। 

চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে নিন

যখন অপরের সমালোচনামূলক কোনো চিন্তার উদয় হবে মনের ভেতর তখনই চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে নিন। যার সমালোচনা করছেন তার সম্পর্কে ভালো কিছু ভাবতে চেষ্টা করুন। 

নিজেকে নিয়ে ভাবুন

অপরের সমালোচনামূলক কোনো চিন্তা এলে নিজেকে নিয়ে ভাবতে পারেন। এতে নিজের কাজে উন্নতি হবে এবং মনোযোগ বেড়ে যাবে। অপরকে নিয়ে ভাবনা বন্ধ করে ফেলুন। 

অপরের সম্পর্কে ভালো চিন্তা করুন

কারও সমালোচনা করতে ইচ্ছে হলে তার সম্পর্কে ভালো কিছু ভাবুন। ইতিবাচক চিন্তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। 

মার্জিত রুচিবোধসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলুন নিজেকে

অপরের সমালোচনা মনে যাতে না আসতে পারে এর জন্য নিজেকে মার্জিত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। এর মধ্য দিয়ে নিজের কাজকে গতিশীল করা সহজ হবে।

এইচএকে/এইচএন/এএ