ভাবছেন এ আবার কেমন কথা, সবাই যখন চায় ওজন কমাতে, সেখানে ওজন বাড়িয়ে মোটা হতে কে চাইবে, কেনই বা চাইবে! আপনার ভাবনা মোটেই অবান্তর নয়। তবে একথাও ঠিক যে অনেকের প্রয়োজন পড়ে ওজন বাড়ানোর। সেক্ষেত্রে তারা নানাভাবে চেষ্টা করেন, খাবার খাওয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দেন।

যদি আপনার চিকিৎসক ওজন বাড়ানোর পরামর্শ দেন কিংবা বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) অনুযায়ী আপনি যদি আন্ডার ওয়েট থাকেন তবে তো ওজন বাড়াতেই হবে। ওজন বাড়াতে গিয়ে অনেকে অস্বাস্থ্যকর উপায় বেছে নেন। কেউ ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েন, কেউ খাবারের রুটিন মেনে চলেন না। আপনি সচেতন হলেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব। জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ-

খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ান

ওজন কম থাকার অন্যতম কারণ হলো খাবারের প্রতি আগ্রহ না থাকা। এমন অনেকে আছেন, খাবার খেতে যাদের ভালোলাগে না। অনেকের তো খাবারের প্রতি এক ধরনের ভীতিও কাজ করে। এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যকর ও পর্যাপ্ত খাবারের বিকল্প নেই। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তবে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা করলে সবচেয়ে ভালো হয়।

বারবার খান

অল্প করে বারবার খাবার খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং আপনি যদি অল্প করে বারবার খান তাহলে শরীরে মেটাবলিজম বেড়ে যায়। এর ফলে ওজন কমতে থাকে। সেজন্য দিনে ৩-৪ বার পেট ভরে খান। তবে খেতে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। নয়তো ওজন বাড়লেও তা আপনার জন্য উপকার বয়ে আনবে না। 

উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার

সাধারণত মানুষ উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকেন ওজন বৃদ্ধির ভয়ে। আপনার যদি ওজন বাড়ানোর দরকার পড়ে তবে তো এ ধরনের খাবার খাওয়াই যেতে পারে। কাঙ্ক্ষিত ওজন না পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের খাবার খান নিয়মিত। তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার পর এ ধরনের খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে হবে।

শাক-সবজি ও ফ্যাট জাতীয়

ওজন বাড়াতে চান বলে শাক-সবজি খাওয়া বাদ দিলে কিন্তু চলবে না। বরং শাক-সবজি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শাক-সবজি রাখুন। চেষ্টা করুন তাজা শাক-সবজি খেতে। মৌসুমী শাক-সবজির ভেতর অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। যেগুলো আমাদের শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

ভাত খান নিয়মিত

আমাদের প্রধান খাবার হলো ভাত। অনেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আপনি যদি নিয়মিত মাড়যুক্ত ভাত খেতে পারেন তবে কিন্তু ওজন বেড়ে যাবে। কারণ ভাতের মাড়ে যথেষ্ট ফ্যাট রয়েছে। আপনি অন্তত একমাস মাড়যুক্ত ভাত খেতে পারেন। এতে কাঙ্ক্ষিত ওজনের অনেকটাই পেয়ে যাবেন।