প্রতিদিনের খাবারে অন্তত একবেলা ভাত না থাকলে যেন চলেই না আমাদের। বাঙালির খাবারের তালিকায় প্রথম নামটিই হলো ভাত। এরপর একে সুস্বাদু করতে বিভিন্ন ধরনের খাবার মিশিয়ে খাওয়া হয়। কিন্তু অনেকেরই ধারণা যে ভাত মোটেও পুষ্টিকর খাবার নয়, এই খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে থাকে। সত্যিই কি তাই?         

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাতে এতটাই বেশি পুষ্টিগুণ থাকে যে প্রতিদিন অল্প করে ভাত খেলেও তা আমাদের সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যারা ভাতকে স্বাস্থ্যকর মনে করেন না তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে বিখ্যাত পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভেকার তার ইনস্টাগ্রামে ভাতের অনেকগুলো উপকারিতার কথা শেয়ার করেছেন।

কতটুকু ভাত খাবেন?

ভাত খাওয়া উপকারী, তার মানে এই নয় যে এটি যত খুশি তত খেতে পারবেন। আপনি যদি থালাভর্তি করে ভাত খেতে থাকেন, সেটি মোটেও কার্যকরী হবে না। কারণ কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাত খেলে তা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ভাত খেতে হবে পরিমিত।

ভাত ছাড়াও অনেক খাবার তৈরি

ভাত হলো একটি প্রাক-জৈবিক খাবার। এটি উপযুক্ত পুষ্টির যোগান দিয়ে যে কেবল আপনাকেই সুরক্ষিত রাখে তা নয়, বরং আপনার ভেতরে থাকা জীবাণুর বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্রকেও সুরক্ষিত রাখে। একবার পালিশ করা চাল আপনি নানাভাবে রান্না করে খেতে পারবেন। ভাত, খিচুড়ি, পায়েশ, ক্ষীর তৈরি করতে পারবেন এই চাল দিয়ে। সবগুলোই আপনাকে পুষ্টির যোগান দেবে।

শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এমন ধারণা অনেকের। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন পরিমিত ভাত খান তবে তা রক্তে উপস্থিত শর্করাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ভাতের সঙ্গে যে আপনি ঘি, মাংস, ডাল, দই, লেবু ইত্যাদি খান সেসব খাবারও কিন্তু আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে কাজ করে।

হজম সহজ করে

হজম সহজ করতে চাইলে প্রতিদিন ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে হজম ভালো হবে এবং পেট হালকা থাকবে। এটি ভালো ঘুমেরও সহায়ক। প্রতিদিন পরিমিত ভাত খেলে তা রমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। শিশু এবং বয়স্কদের জন্য ভাত খাওয়া বেশি জরুরি।

ত্বক ভালো রাখে

আমাদের ত্বক ভালো রাখতেও ভাত বিশেষভাবে কাজ করে। নিয়মিত ভাত খেলে তা উচ্চ প্রোল্যাকটিন স্তরের পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত রন্ধ্র বন্ধ করে। সেইসঙ্গে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে ভাত। এটি চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে এবং চুল সুন্দর রাখে।