কোনো কাজেই বের হলেন কিংবা শখের বসে ঘুরতে, আপনার সঙ্গের শিশুটি গাড়িতে চড়তেই বমি করে ভাসিয়ে দিলো। এরকম অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। যাদের ক্ষেত্রে ঘটে না, তারা ভাগ্যবান। যাত্রাপথে বমি হলে তা শুধু শিশুর জন্য নয়, সঙ্গে থাকা অভিভাবকের জন্যও ভোগান্তির বিষয়।

শিশুর বমি করার ভয়ে তো তাকে বাড়িতে একা রেখে যেতে পারেন না, তাই না! পরিচিত এই সমস্যার সমাধান খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছেন? আপনি কিছু বুদ্ধি খাটালেই শিশু গাড়িতে চড়েও বমি করবে না। বরং পুরো যাত্রাপথে থাকবে ফুরফুরে। সেজন্য প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে গাড়িতে চড়লে শিশুর বমি কেন হয়। এরপর তার সমাধান বের করতে হবে। জেনে নিন এমনকিছু উপায় যার মাধ্যমে সহজেই শিশুর বমি বন্ধ করা সম্ভব-

ভাতের মাড়

এক কাপ চাল ভালো করে ধুয়ে তা দিয়ে ভাত তৈরি করে নিন। এরপর ভাতের মাড়টুকু সামান্য লবণ মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। অনেক সময় শিশুর পেটে সমস্যার কারণে বমিভাব হয়ে থাকে, এমন সমস্যায় এটি ভাল কাজ করে।

জিরা

বমি থামানোর ক্ষেত্রে আরেকটি উপকারী উপাদান হতে পারে জিরা। প্রথমে এক চা চামচ আস্ত জিরা শুকনো খোরায় ভালোভাবে টেলে নিন। এরপর তা গুঁড়া করে নিন। জিরার গুঁড়াটুকু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এতে তার যাত্রাপথে বমি বন্ধ হবে।

এলাচ

বমি থামাতে কার্যকরী হতে পারে এলাচ। এই মসলার গন্ধে গা গোলানো বা মাথা ধরা ভাব অনেকটাই কমে যায়। এলাচ চিবিয়ে খেলে বমি থামার পাশাপাশি অনেকটা সতেজ অনুভূত হবে।

পেঁয়াজের রস

শিশুর বমি ভাব কমাতে দারুণ কাজ করে পেঁয়াজের রস। সেজন্য সম পরিমাণে পেঁয়াজ এবং আদার রস মিশিয়ে শিশুকে মাঝে মাঝে খাওয়ান। এতে তার গাড়িতে চড়লে বমির সমস্যা দূর হবে।

দারুচিনি গুঁড়া

আরেকটি উপকারী মসলা আছে যা শিশুর বমি থামানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। সামান্য দারুচিনি গুঁড়া করে তা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিটুকু শিশুকে খেতে দিন। এতে শিশুর বমির সমস্যা থাকলে তা সহজেই দূর হবে।

লবঙ্গ

গাড়িতে চড়ার আগে শিশুর মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখতে পারেন। এটি তার জিহ্বার নিচে রাখতে বলুন। এর ফলে মুখে সুগন্ধ থাকার পাশাপাশি বমি, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।