শীত তো এসেই গেল। এসময় ত্বকের রুক্ষতার বিষয়ে নতুন করে আর বলতে হয় না। রুক্ষ ত্বকের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই, এমনকী তৈলাক্ত ত্বকও এসময় রুক্ষ হয়ে পড়ে। শীতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য চাই সঠিক উপায়ে যত্ন, সঠিক উপাদান ব্যবহার। এসময় রুক্ষ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বাড়িতে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উত্তম।

কেন বাইরে থেকে কেনা ফেসপ্যাকের বদলে বাড়িতে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন? কারণ ঘরোয়া উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব থাকে না বললেই চলে। সেইসঙ্গে পাবেন ত্বকে সঠিক পুষ্টি পৌঁছানোর নিশ্চয়তা। পরিচিত কিছু উপাদান আপনার ফেসপ্যাকে রাখলেই আর ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন ফেসপ্যাকগুলো আপনার ত্বকের জন্য উপকারী-

মধু ও দুধের সর

শীতের এই সময়ে ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে ফেসপ্যাকের উপাদান হিসেবে রাখুন দুধের সর ও মধু। এই দুই উপাদান দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এর সঙ্গে শুকনো কমলার খোসা গুঁড়া করে মেশাতে পারেন। সেটি আরও বেশি কার্যকরী হবে। এটি ফেসপ্যাকের পাশাপাশি কাজ করবে স্ক্রাবার হিসেবেও। গোসলের আগে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নেবেন এই মিশ্রণ। চাইলে পুরো শরীরেও মাখতে পারেন। এটি শরীরের সব অংশের জন্যই কার্যকরী। এভাবে মিনিট দশেক রেখে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে পরিবর্তনটা আপনিই টের পাবেন।

দুধ, ময়দা ও মধুর মিশ্রণ

প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার হিসেবে ভীষণ কার্যকরী হলো মধু। এদিকে দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড কাজ করে ত্বককে পরিষ্কার করতে। আর ময়দার প্রলেপ ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে কাজ করে। এর ফলে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল। সুতরাং শীতের ফেসপ্যাকে এই তিন উপাদান রাখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘরে থাকা এই সাধারণ উপাদানগুলো আপনার ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কাজ করবে।

অ্যালোভেরা ও অলিভ অয়েল

এই ফেসপ্যাক একটু অন্যভাবেও ব্যবহার করা যায়। চাইলে মুখে ও গলায় মেখে সারারাত রেখেও দিতে পারেন। সেজন্য এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিতে হবে। তার সঙ্গে মেশাবেন সম পরিমাণ অলিভ অয়েল। এরপর ভালোভাবে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে সারারাত রেখে সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শীতেও আপনার ত্বক থাকবে কোমল ও উজ্জ্বল।