যারা রূপচর্চায় মনোযোগী, তাদের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম হলো গোলাপ জল। আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো কাজ করে গোলাপ জল। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এই রূপচর্চার উপাদান প্রায় সব বাড়িতেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এটি এখন আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গোলাপ জল তৈরি করা হয় গোলাপের পাপড়ি থেকে। এটি প্রথম তৈরি হয়েছিল ইরানে। রূপচর্চার পাশাপাশি রান্নার কাজেও কিন্তু ব্যবহার করা যায় এই গোলাপ জল। 

আমাদের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে গোলাপ জল। তাই এটি ব্যবহার করলে ত্বক থাকে সতেজ। বিশ্বের অন্যতম সেরা সুন্দরী ক্লিওপেট্রাও তার ত্বকের যত্নে গোলাপ জল ব্যবহার করতেন, এমনটাই শোনা যায়। এর অর্থ হলো, রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকেই।

ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে

ত্বকের যত্নে অনেকেই ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। তবে সেই ফেসপ্যাক মুখে ব্যবহারের আগে গোলাপ জল লাগিয়ে নিতে হবে। 
পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে সারা মুখে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। এরপর মুখে লাগান ফেসপ্যাক। এতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা বাড়বে।

ত্বক আর্দ্র রাখতে কাজ করে গোলাপ জল

রুক্ষ ত্বক নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। আপনারও যদি একই সমস্যা থাকে তবে মুখে নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে পুরো মুখে গোলাপ জল স্প্রে করে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

ত্বকের পি এইচ ভারসাম্য বজায় রাখে

আপনার কি হঠাৎ করেই ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, আবার হঠাৎ করেই তৈলাক্ত হয়ে যায়? এর মানে আপনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্সের নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে কাজ করবে গোলাপ জল।

ব়্যাশ সারাতে কাজ করে

ত্বকের যত্নে উপকারী গোলাপ জলের আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। তাই ত্বকের কোথাও জ্বালাভাব হলে আপনি সেখানে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এতে সহজেই সমাধান মিলবে।

বাড়িতে গোলাপ জল তৈরি করতে যা লাগবে

* অরগ্যানিক গোলাপ

* ডিসটিলড ওয়াটার ও

* স্প্রে বোতল।

প্রথমে গোলাপের পাপড়ি ছাড়িয়ে নিন। এবার পাপড়িগুলো একটি কৌটোয় রাখুন। হালকা গরম পানিতে গোলাপের পাপড়িগুলো ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটি বড় পাত্র নিন। তার মধ্যে ঢালুন ডিসটিলড ওয়াটার। এরপর তার সঙ্গে মেশান গোলাপের পাপড়ি। ডিসটিলড ওয়াটারে যেন সবগুলো পাপড়ি ডুবে থাকে। পাত্রটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে হালকা আঁচে গরম হতে দিন। এভাবে আধা ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। এরপর দেখবেন পানির রং হালকা গোলাপি হয়ে এসেছে। এবার নামিয়ে গোলাপ জল ছেঁকে নিন। ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটি শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন।