মনে করুন, বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছেন কোনো রেস্তোরাঁয়। সেখানে আড্ডা দেয়ার বদলে সবাই একসঙ্গে স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খেতে বসে, ঘুমের আগে, অবসরে এমনকি কাজের সময়েও আমাদের মন পড়ে থাকে স্মার্টফোনের কাছে। এভাবেই আমরা দিনের সিংহভাগ সময় স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করে থাকি। স্মার্টফোনে আমাদের এই আসক্তি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় ঝুঁকি। অনেকে স্মার্টফোনে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েন যে দিনের পুরো সময়টাই স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করেন। এর মাধ্যমে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে দুর্বল হতে থাকেন। স্মার্টফোনে এই আসক্তি দূর করার কিছু উপায় অবলম্বন করলে মিলতে পারে মুক্তি।  

অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না

বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট জীবন-জীবিকাকে অনেক সহজ করে তুলেছে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে তথ্য আদান-প্রদান সহজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও স্মার্টফোনের রয়েছে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব। অনেকে উপলব্ধি করতে চান না, তবে একথা সত্যি যে অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার থেকে আসক্তি শুরু হয়। সে কারণে চলতে ফিরতে সব জায়গাতেই তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে অনেকের জীবনে ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। 

স্মার্টফোনে আসক্তির কারণে যেসব মানসিক রোগ হয়

সব বয়সের মানুষের মধ্যেই স্মার্টফোনে আসক্তি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে এমন সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ তালিকায় পিছিয়ে নেই তরুণ প্রজন্মও। অনেকে স্মার্টফোনে আসক্তির কারণে দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। অনেক মানুষ সহজভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এছাড়া মোবাইলে আসক্তির প্রভাবে অনিদ্রা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আরও বড় কোনো অসুখ। তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য স্মার্টফোনের ব্যবহার সংক্ষিপ্ত করা জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যবহার করলে দিনশেষে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

স্মার্টফোনে আসক্তি দূর করবেন যেভাবে

আসক্তি থেকে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা থেকে মনোজগতে পরিবর্তন হয়ে থাকে। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে মেডিটেশন করা প্রয়োজন। নিয়মিত মেডিটেশন করলে দুশ্চিন্তাসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম স্মার্টফোনে আসক্তি দূর করতে সক্ষম। স্মার্টফোনে আসক্তি দূর করার জন্য বেছে নেয়া যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের শখের কাজ। এমন কিছু শখ নির্বাচন করা উচিত যে শখের মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকা যায়। এমন অভ্যাস তৈরি করলে তা আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

এইচএকে/এইচএন/এএ