ব্রণের সমস্যা কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি দেখা যায়, কারও ক্ষেত্রে খুবই কম। এর কারণ হলো, সবার ত্বকের ধরন এক নয়। যাদের ব্রণ কম হয় তারা সৌভাগ্যবান, কিন্তু এই সমস্যা দিনের পর দিন বয়ে বেড়াচ্ছেন যারা, তাদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়ই। কারণ ব্রণ একবার দেখা দিলে দূর করা সহজ হয় না। অনেক সময় নানা রকম যত্ন নিয়েও মুক্তি মেলে না। এর জন্য দায়ী হতে পারে কিছু নির্দিষ্ট খাবার। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ ডাঃ আলেখ্যা রাল্লাপল্লী। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এমনটাই লেখেন।

রূপচর্চা হলো যত্ন এবং সামঞ্জস্যের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা। যেমন স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক অর্জনের জন্য সুষম খাদ্য, ত্বকের ধরন অনুসারে একটি স্কিনকেয়ার রুটিন, পর্যাপ্ত ঘুম, হাইড্রেশন- সবই সমানভাবে প্রয়োজনীয়।

উপরের সবগুলো যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও আপনার ব্রণ দূর হচ্ছে না? উদ্বিগ্ন হবেন না, কারণ এক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলেখ্যা রাল্লাপল্লীর কাছ থেকে কিছু সহায়ক পরামর্শ রয়েছে। তিনি সম্প্রতি কিছু খাবার তালিকাভুক্ত করেছেন যা ব্রণের কারণ হতে পারে।
খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে:

* দুগ্ধজাত পণ্য যেমন পনির এবং দই
* হুই প্রোটিন/সয়া প্রোটিন
* চিনাবাদাম
* ঝিনুক
* লবণ
* চিনি
* মিছরি
* গ্লুটেন (সাধারণত রুটি বা পাস্তায় পাওয়া যায়)
* অ্যালকোহল
* সোডা
* লাল মাংস।

বিশেষজ্ঞ বিশেষ করে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক খাদ্য উত্স যেমন শর্করা বা চিনিযুক্ত পানীয়, সাদা রুটি, সাদা ভাত ইত্যাদির বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ এগুলো ইনসুলিন স্পাইক তৈরি করে যা ব্রণকে আরও খারাপ করে তোলে। ‘তাজা ফল এবং শাকসবজি, স্বাস্থ্যকর প্রোটিন উৎস এবং আস্ত শস্য সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্যতালিকা পছন্দ করুন’, তিনি পরামর্শ দেন।

যদিও এই খাবারগুলো আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়, তবে একটু সংযম অনেক দূর এগিয়ে যায়। সাদা ভাত বা ময়দা (মিহি করা ময়দা) দ্বারা তৈরি দৈনিক খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর শস্য যেমন ওটস, বাদামি চাল, কুইনোয়া ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ব্রণের আক্রমণ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।