বিয়ের পরে একসঙ্গে থাকতে গিয়ে দম্পতিরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানতে পারে। আগে থেকে যতই প্রস্তুতি নেওয়া থাকুক না কেন, ছোট ছোট বিষয়গুলো কেবল একসঙ্গে থাকতে গিয়েই সামনে আসে। সব দম্পতিই ভুল করতে করতে শেখে, একসঙ্গে থাকতে গিয়ে সেসব ভুল হওয়াটাও স্বাভাবিক। আবার সেসব ভুল নিয়ে নবদম্পতি যে খুব চিন্তিত থাকে, এমনও নয়। এমনকিছু ভুল রয়েছে যা প্রায় সব নবদম্পতিই করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সীমানা টেনে দেওয়া

এই সীমানা মানে ব্যক্তিগত সীমানা নয়। এটি হলো বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সীমানা টেনে দেওয়া। বিয়ের পরে ‌‘আমি এবং আমার’ ভাবনার থেকেও বেশি ভাবতে হবে ‘আমাদের এবং আমরা’ নিয়ে। আপনাদের উভয়ের সীমারেখার মধ্যেই পরস্পরের পরিবারকে মেনে নিতে হবে। সব ছুটি শুধু দুজনেই না কাটিয়ে পরিবারের মানুষদের সঙ্গেও কাটাবেন। বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতো সময় কাটানো না হলেও সম্পর্ক একেবারে ‍গুটিয়ে নেবেন না।

ভুল হতেই পারে

বিয়ের পরে দুজন দুজনের কাছ থেকে আশা করে যে, তারা কেউ কখনো ভুল করবে না! কিন্তু এসময় জীবনের দৃশ্যপট দুজনের জন্যই সমানভাবে বদলে যায়। দুজনেই সংসারে নতুন মানুষ হয়ে প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে শিখে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসে। তাই ভুল হবে না, এই আকাঙ্ক্ষা করবেন না। ভুলকেও গ্রহণ করুন এবং সেখান থেকে শিখুন।

প্রসাধন ভাগাভাগি

এটি একটি ছোট বিষয় বলে মনে হতে পারে। কারণ আপনারা একসঙ্গে থাকছেন প্রসাধনী ভাগাভাগি করতেই পারেন। কিন্তু এটি পরে সমস্যার কারণ হতে পারে। কীভাবে? যদি আপনাদের মধ্যে কেউ টুথপেস্টের ক্যাপটি স্ক্রু করতে ভুলে যান এবং এটি শুকিয়ে যায়, তখন অপরজন অবশ্যই উত্তেজিত হবেন। কখনও কখনও ভাগাভাগি ঠিক থাকে কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন একই জিনিস ব্যবহার করেন যেখানে একজন অল্প পরিমাণ ব্যবহার করে এবং অন্যজন অনেক বেশি, জিনিসটি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে তা নিয়ে ঝগড়াও হতে পারে! তাই সবথেকে ভালো হয় দুজনেই সতর্ক থাকলে, যার যার প্রসাধনী আলাদা ব্যবহার করলে।

বন্ধু এবং পরিবারকে ভুলে যাবেন না

হ্যাঁ আপনাকে অবশ্যই একটি রেখা আঁকতে হবে তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাবেন। এমন দিন থাকা উচিত যখন আপনি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন, গার্লস ডে বা ছেলেদের ডে আউট, গেমিং ডে বা সিনেমা দেখা চলতেই পারে। আপনার সঙ্গীকে একই কাজ করতে উত্সাহিত করুন, সময় কাটান বন্ধুদের সঙ্গে। না হলে আপনাদের উভয়েরই দম বন্ধ হয়ে আসবে। অনেক ক্ষেত্রে এটি হতাশার কারণ হতে পারে, যা সহজেই এড়ানো যেতো।

বাড়ির সাজসজ্জার ক্ষেত্রে

যখন আমরা একা থাকি তখন ঘর সাজানোর জন্য আমাদের নিজস্ব স্টাইল থাকে। কিন্তু যখন অন্য কেউ সেখানে আসে, তখন পুরো ঘর আবার নতুন করে সাজাতে হতে পারে। যে তার নিজের ঘর ছেড়ে এসেছে তাকে অনুভব করতে দিন যে এটাও তার বাড়ি। নিজের পাশাপাশি তার পছন্দকেও প্রাধান্য দিন। সবচেয়ে ভালো হয় দুজনের পছন্দে ঘরের সবকিছু সাজালে। আপনার পছন্দ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।