খুশকি হলো সুন্দর চুলের শত্রু। চুল ও মাথার ত্বকের বারোটা বাজাতে এই এক সমস্যাই যথেষ্ট। শীতের সময়ে গরমের মতো ঘাম কিংবা ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে না ঠিকই, তবে মাথার ত্বকে খুশকি দেখা দিতে পারে। এই খুশকি আমাদের চুল তো নষ্ট করেই, সেইসঙ্গে মাথার ত্বকে নানা সমস্যার জন্যও দায়ী। একটুখানি চুলকালেই খুশকি ঝরতে শুরু করে। কাপড়ের ওপর খুশকি পড়ে থাকলে তা আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখলে খুশকির সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। খুশকি থেকে দূরে থাকার রয়েছে আরও কিছু উপায়।

তরল খাবার

সুস্থ থাকতে হলে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অবহেলা করলে দেখা দেবে আরও অনেক সমস্যা। শীতের সময়ে তৃষ্ণা কম পায় বলে অনেকেই পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দেন। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই দেখা দেয় খুশকি। তাই পানি তো পান করবেনই, সেই সঙ্গে খাবেন বিভিন্নরকম তরল খাবার। হতে পারে তা স্যুপ, ফল কিংবা ফলের রস। তবে যা-ই খান না কেন, তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। খুশকি হলো এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। এটি দূর করতে খেতে হবে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। কমলা, লেবু, আমলকি ইত্যাদি নিয়মিত খান। পাশাপাশি খেতে হবে ভিটামিন বি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার।

প্রাকৃতিক তেল

খুশকি দূর করার আরেকটি উপায় হলো প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল কিংবা আমন্ড অয়েলের মধ্যে যেটি আপনার চুলের জন্য ভালো, সেটি ব্যবহার করুন। তেল ব্যবহারের আগে হালকা গরম করে নেবেন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হয়। হট অয়েল ট্রিটমেন্টও করতে পারেন। সেজন্য প্রথমে হালকা গরম তেল মাথায় ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে একটি পরিষ্কার তোয়ালে চুবিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। এতে তেলের পুষ্টি চুল ভালোভাবে শোষণ করবে। পরদিন ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে মাথার ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে, রক্ত চলাচলও বাড়বে। কমবে খুশকির ভয়ও।

চুল পরিষ্কার রাখুন

কোনোকিছু অপরিষ্কার রাখলে সেখানে রোগ-জীবাণু বেশি বাসা বাঁধে। তাই মাথার ত্বক ও চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। সেজন্য নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে চুলে। চুলের ধরন বুঝে সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু করারও আছে কিছু নিয়ম। সরাসরি মাথার ত্বকে শ্যাম্পু না ঘষে প্রথমে হাতের তালুতে অল্প শ্যাম্পু ঢেলে নিন। এরপর তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। সেই শ্যাম্পু আলতো হাতে মাথায় লাগান। মিনিট দুয়েক হালকাভাবে ঘষে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু যেন ভালোভাবে পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে না।

এইচএন/এএ