এপার-ওপার দুই বাংলায় একযোগে প্রকাশ পেল থ্রিলার উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’। কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা সামনে রেখে অভিযান পাবলিশার্স ও ঢাকার অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ প্রকাশ করেছে উপন্যাসটি। লেখক ও সাংবাদিক জামশেদ নাজিমের উপন্যাসটি প্রকাশের পরপরই ব্যাপক সাড়া ফেলে পাঠকদের মধ্যে।

ঢাকার বই মেলার আগেই বইটির প্রথম সংস্করণ শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক আদিত্য অন্তর।

তিনি বলেন, রহস্যঘেরা গল্পে রচিত উপন্যাসটি পাঠকরা গ্রহণ করেছেন। প্রতিদিন সরাসরি আমাদের অফিস ও ভার্চুয়াল মাধ্যম থেকে পাঠকরা বই কিনছেন। তাই মেলায় আগেই দ্রুত আমাদের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করতে হচ্ছে। একই অবস্থা কলকাতাতেও।

কলকাতার অভিযান পাবলিশার্সের কর্ণধার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের লেখকদের বই ভেবেচিন্তে প্রকাশ করি। পাণ্ডলিপি পড়ে গল্প বা উপন্যাস প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নিষিদ্ধ নাগরিক উপন্যাসের পাণ্ডলিপি পড়ে আমার খুব পছন্দ হয়। কলকাতায় নতুন এই লেখকের বইটি বেশ ভালো সাড়া ফেলবে।

উপন্যাসটি মূলত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সিয়াম নামের এক প্রতিবাদী যুবককে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে কলকাতায় আশ্রয় পাওয়া সিয়াম নিজের অজান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করেন। মনের মধ্যে পুষে রাখেন রাগ-ক্ষোভ। 

যেভাবেই হোক তার দূরবস্থার জন্য দায়ী সবাইকে তিনি শাস্তি দেবেনই। কলকাতায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক বলিষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সিয়ামের। তার আস্থাভাজন হয়ে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। ছদ্মবেশে হোটেল সোনারগাঁওয়ে কাজ শুরু করেন। সেখানে আজমী নামের পাকিস্তানের এক গুপ্তচরকে হত্যা করেন।

এতে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থায় তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। কিন্তু ঘটনা বইতে শুরু করে অন্য খাতে। আন-অফিসিয়াল তদন্তে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আরও কয়েকজন ঢাকায় আসে। অন্যদিকে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ফেলে বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থা। 

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে আজমী নামের মেয়েটিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়ামের বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত শুরু হয়। আবার তুসি নামের এক মেয়েকে খুঁজছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু কেন? কে এই তুসি? সিয়াম কেন তুসির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে?...এমন রহস্যের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। গল্পের চরিত্রগুলোও হয়ে ওঠে আরেক জীবন্ত গল্প।

প্রসঙ্গত, নিষিদ্ধ নাগরিক জামশেদ নাজিমের পঞ্চম বই। এর আগে তার তিনটি উপন্যাস একটি গল্পের গল্প, গল্পটির বাকি অংশ, আবেগের জলডুবি ও একটি কাব্যগ্রন্থ জোছনার কফিন
পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।

নিষিদ্ধ নাগরিক সম্পর্কে জামশেদ নাজিম বলেন, টানটান উত্তেজনা বিরাজ করাতে চেষ্টা করেছি থ্রিলার উপন্যাস নিষিদ্ধ নাগরিকের প্রতিটি লাইনে লাইনে। দীর্ঘদিন ধরে ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার জন্য মূলত থ্রিলার ধাচের লেখা লিখতে চেষ্টা করি। গত দুই বছর আমি কোনো উপন্যাস লেখিনি। নিষিদ্ধ নাগরিক থেকে শুরু হয়েছে আমার থ্রিলার উপন্যাস। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আগামী সব উপন্যাসে।

কেএ