আসর

ক্ষয় হতে থাকা অন্ধকার দরজা 
কড়া নাড়ার শব্দে মাতোয়ারা 
কোলাহলখানায় ঘুমের আসর বসে। 

 

মড়াজল 

পোয়াতি ওক গাছটাকে 
এক দিনভর্তি ছেলেধরা পায়। 

সন্ধ্যার কলসে ভেসে 
কিছু দিনপুকুরে নামে 
কলাগাছসম পাতা। 

কোরা ডুব খায় 
ভুস করে ভেসে ওঠে 
মড়াজল।

 
কবি

নিঃশব্দে গোপন থেকে 
শব্দেরা— 
উল্কি ফাঁস করে। 

শহরে 
আসে 
হুলিয়া।

 

ঘুম

কেন যে ছিটকে যাই নখে 
নক্ষত্রে— 
ঘোড়ার লাগাম পরে। 

সার্কাস বাতাসি বৃত্তে
প্রশমন লাটিম 
ঘুরে
ঘুরে
জেরা করে
খুব। 

স্বপ্নবাতি নিভিয়ে 
সিঁদুরের সিন্দুক জ্বালি।

 

বন্ধক

সাতচল্লিশ সন থেকে 
বাকুম বাকুম করছে 
বন্ধকী পায়রা। 

সাকিন হারানো 
জমিদার 
ঘামে রাজত্ব করে।

 

বৃত্ত

বন্দি হাওয়ার পিঠে তুফান এলে, চোখে 
পানা পুকুর 

স্নান দৃশ্যের পাশে 
কাঁদছে কিশোর, তাঁর 
বুকে গান তুলে দাও 

জল-লাটিমের ঘূর্ণিতে পড়ে গেছে 
মা, 
কিশোর কাঁদছে, তাঁর
বুকে গান তুলে দাও

এইচকে