প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়নাধীন ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)’-এর আওতায় ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদাত হোসেন রাকিবসহ ২০ সাংবাদিক ‘এলডিডিপি জার্নালিস্ট ফেলোশিপ’ পেয়েছেন। প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন তৈরিতে উৎসাহিত করতে এ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

যারা ফেলোশিপ পেয়েছেন-

অনলাইন মিডিয়া- ঢাকা পোস্টের শাহাদাত হোসেন রাকিব, জাগো নিউজের ইসমাইল হোসাইন রাসেল, বার্তা২৪.কমের তরিকুল ইসলাম সুমন, বাংলা নিউজের গৌতম চন্দ্র ঘোষ।

প্রিন্ট মিডিয়া- দৈনিক ইত্তেফাকের এম এ জলিল মুন্না রায়হান, যুগান্তরের শিপন হাবিব, সমকালের জাহিদুর রহমান, জনকণ্ঠের বিকাশ নারায়ন দত্ত, দেশ রূপান্তরের উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ভোরের কাগজের রুহুল আমিন,  আমাদের সময়ের আসাদুর রহমান, দৈনিক আমার সংবাদের বেলাল হোসেন, ভোরের ডাকের বায়েজীদ মুন্সী, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শওকত আলী, নিউ নেশনের হারুন-উর রশীদ।

টেলিভিশন- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির হাসিফ মাহসুদ শাহ, বিটিভির মো. নাসির উদ্দিন, ডিবিসির ইউসুফ আলী, চ্যানেল ২৪ এর ফয়জুল সিদ্দিকী, আরটিভির সেলিম মালিক।

এ উপলক্ষে রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণিসম্পদ দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এই খাতকে ভালোভাবে তুলে ধরে, এর ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে সাংবাদিকরা শুধু প্রাণিসম্পদ খাতেরই উপকার করছেন না, দেশেরও উপকার করছেন। এতে গোটা জাতি উপকৃত হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যদি মূল পেশার উৎকর্ষ সাধন করা যায়, মেধার পরিচর্যা করা যায়, আত্মশক্তিকে যদি জাগ্রত করা যায়, সুপ্ত জ্ঞানের যদি পরিপূর্ণভাবে বিকাশ করা যায়, তাহলে নিজের যোগ্যতা দৃশ্যমান হয়। সাংবাদিকদের ফেলোশিপ দিয়ে তাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে পারস্পরিকভাবে উন্নয়ন করা যায়। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাত সমৃদ্ধ হতে পারে, আবার এ খাতে যে সাংবাদিকরা কাজ করবেন তাদেরও জ্ঞানের পরিসর বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, মনোনীত ফেলোরা আগামী তিন মাসের (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) মধ্যে প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনা, করণীয় বিষয়ে গবেষণাধর্মী, উন্নয়নমুখী ও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচার করবেন।

এসএইচআর/এমএইচএস