ঢাকা পোস্ট সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় ঢাকসাসের উদ্বেগ
সংবাদ প্রকাশের জেরে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট -এর সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় হয়রানিমূলক, মিথ্যা চাঁদাবাজি ও আইসিটি আইনে মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (ঢাকসাস)।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি এ জেড ভূঁইয়া আনাস ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে সাংবাদিকরা যখন সোচ্চার ঠিক তখনই সরকারের বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র নিজেদের দুর্নীতি-অনিয়ম-অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ওই চক্রটির কর্মকাণ্ড সরকারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও হয়ারানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, স্বাধীন দেশে গণমাধ্যমের ওপর এমন নগ্ন হামলা বন্ধ না হলে সাংবাদিক সমাজ এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল মানববন্ধন
মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) মানববন্ধন করবে ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (ঢাকসাস)। দুপুর দেড়টায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান তামিম বলেন, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মহল মামলা-হামলার মাধ্যমে দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। কিন্তু সচেতন সাংবাদিক মহল কখনোই তা বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ নভেম্বর ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘ঢাকা পোস্ট ডট কম’। সংবাদটির জের ধরে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে গাইবান্ধায় হয়রানিমূলক, মিথ্যা চাঁদাবাজি ও আইসিটি আইনে মামলা করেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির।
আরএইচটি/এসকেডি