তামাকবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশে সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ দেবে ঢাকা আহছানিয়া মিশন। 

রোববার (১৮ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য থাকবে- ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’

ফেলোশিপ দেওয়া হবে- জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া ফেলোশিপ (বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা), ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ফেলোশিপ (টেলিভিশন ও রেডিও) এবং অনলাইন মিডিয়া ফেলোশিপ (সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল) বিভাগে। কোনো ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাবার মতো প্রতিবেদন পাওয়া না গেলে অন্য ক্যাটাগরি থেকে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।

জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং সরকার অনুমোদিত অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে ২ বছরের পূর্ণকালীন কর্ম অভিজ্ঞতা। এছাড়া তামাক বিরোধী সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশে অভিজ্ঞদের এবং প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত ও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ফেলোশিপের আবেদনের জন্য প্রার্থীকে ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তসহ ইমেইলে (pressdamhs@amic.org.bd) আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে হবে। আগ্রহী সাংবাদিকদের আবেদন যাচাইবাছাই করে নির্বাচিতদের ওয়ার্কশপে অংশ নেবার সুযোগ দেওয়া হবে। ওয়ার্কশপের জন্য নির্বাচিতদের ফোনে ও ইমেইলে জানানো হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ফেলোশিপে অংশ নেবার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।

ওয়ার্কশপে অংশ নেবার পর থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য মোট ৩০ দিন সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না। জমাকৃত প্রতিবেদন থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪টি প্রতিবেদনের জন্য ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে সাফল্যের সাথে অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদন সাপেক্ষে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলো হিসেবে সনদপত্র ও সম্মানী প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী তার নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট যেকোনো মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ/প্রচারের ব্যবস্থা করবেন এবং প্রকাশিত/প্রচারিত প্রতিবেদনের কাটিং/লিংক/ক্লিপিংস নিজ উদ্যোগে ইমেইলের (pressdamhs@amic.org.bd) মাধ্যমে প্রেরণ করবেন। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩টি প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।

ফেলোদের সম্মানী হিসেবে নির্বাচিত ৪ জনের প্রতিজনকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। ফেলোশিপ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

এমএইচএন/এইচকে