সন্ত্রাসীদের গুলিতে জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির প্রাণ হারানোর ঘটনায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও রিপোর্টার্স অ্যাগেইস্ট করাপশন (র‌্যাক)। 

অন্যদিকে দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউএজ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীরের হেনস্তার শিকারের ঘটনায়ও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠন দুটি। 

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠন দুটি থেকে পাঠানো পৃথক পৃথক প্রেস বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ইআরএফর সভাপতি দৌলত আকতার মালা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং র‌্যাকের সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক সংগঠন দুইটির পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।

তারা বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। 

 বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকা পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিকভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

ডিআরইউ মনে করে ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। 

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের উপরে হামলা করেছে তারা হাদির অনুসারী না এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এইসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

আরএম/বিআরইউ