বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীকে মারধর করে বেঁধে রাখে।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবির প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান নেন। পাশাপাশি তিন দফা দাবি জানিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ধর্ষকদের বিচার চাওয়ার দুই দফা হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর রাজিউর রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মহিলা পরিষদ মনে করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নারী শিক্ষা ও অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
মহিলা পরিষদ দলবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সুচিকিৎসাসহ তার ও পরিবারের সদস্যদের এবং বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
মহিলা পরিষদ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
জেইউ/আরএইচ