‘হয় গুলি করুন, নয় বয়স বাড়ান’
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহাসমাবেশ করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে চাকরিপ্রার্থীদের মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে শতাধিক চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনার কারণে কোনো পরীক্ষার সার্কুলার হয়নি। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সার্কুলার হলেও একদিনে ২৬টি করে পরীক্ষা দিয়ে সেগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। আমরা চাকরি চাইনি, চাকরির সুযোগ চেয়েছি। আমাদের হয় গুলি করুন, নয়তো চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়ন করুন।
সমাবেশে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সমন্বয়ক রিগান মাহমুদ বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর তো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর পিছিয়ে সেই ত্রিশই তো আমরা পেলাম না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকরা ১৭ মাস চলে যাওয়ার পর ২১ মাসের একটা ব্যাকডেট দিল। সেটা আবার আমাদের জন্য না, ত্রিশোর্ধ্বদের জন্য। আমাদের যাদের এখনো বয়স আছে, তারা এই ব্যাকডেট থেকে সামান্যতম সুবিধা পাইনি। গত এক বছর পড়ার টেবিল ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছি, আমাদের সময়ের কি কোনো মূল্য নেই? তাই দ্রুত চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হোসেন ও সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী মানিক হোসেন রিপন।
চাকরিপ্রার্থীদের চার দফা দাবি হলো-
>> সব চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে
>> নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
>> চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে।
>> একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
এএজে/ওএফ