খামারিদের রক্ষার্থে দ্রুত সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। এটি বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য মূল্য বেড়ে যাবে। এতে করে খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধ ও পশুখাদ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ও এসব দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- সরকারকে খামারিদের তরল দুধের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে; হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ করতে হবে; পশুখাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির মাধ্যমে পশুখাদ্য পৌঁছে দেওয়া; পশুখাদ্য ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট বন্ধ করা; জরুরি শিশু খাদ্য নয়, বরং বাল্ক ফিড মিল্ক নামে নিম্নমানের গুঁড়া দুধ আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিল কৃষির আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন বলেন, সয়াবিন মিল রপ্তানি হবে এমন খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম দফায় দফায় কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে পশুখাদ্যের মধ্যে শুধু সয়াবিন মিল নয়, অন্যান্য সব পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। শুধুমাত্র সয়াবিন মিল রপ্তানির কারণে গত ৩ মাসে পশুখাদ্যের মূল্য প্রায় ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যার প্রভাবে মাংসের দাম আজ ঊর্ধ্বগতি এবং দুগ্ধ খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহ প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস