সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল মঞ্জুরি প্রদানের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি হওয়া পত্র জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষক’।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আব্দুল কাইয়ুম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীই একটি দেশের মূল চালিকা শক্তি। আমরা প্রাথমিক শিক্ষকরাই শিক্ষার এ মহান কাজে নিয়োজিত। জাতীয় উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য শিক্ষার গুণগত মান্নোয়নের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এ পর্যন্ত যত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়। শিক্ষকদের অবজ্ঞা বা অবমূল্যায়ন করে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কি আদৌ সম্ভব। শ্রেণিকক্ষে সফল পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে নয়, সন্তোষজনক বেতন অপরিহার্য।

আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমরা প্রাথমিক শিক্ষকরা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ দেশের প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার ও উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। বাড়তি জনবল ছাড়াই আমরা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গত ১১ বছর ধরে দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে আসছি। যার পাসের হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। ইতোমধ্যে আমরা বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শতভাগ শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করেছি। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান
শিক্ষকদের ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদান করা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গেই অপরিহার্য। আমাদের দাবিটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের তেমন অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না বিধায় শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, ১০ মার্চ বিকেল ৪টায় দেশের সব জেলায় শিক্ষক সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ, ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা এবং ৩০ মার্চ ঢাকায় সমাবেশ ও সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এমএইচএন/এসএসএইচ