টিকা নিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও নৌ প্রতিমন্ত্রী
করোনার টিকা নিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শ্যামলীর টিবি হাসপাতালে খাদ্যমন্ত্রী টিকা নেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ)।
টিকা নেওয়ার পর শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং কোনো পরিবর্তন অনুভব করছেন না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকেই দেশবিরোধী একটি চক্র দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। যখন টিকা নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয় তখন তারা বলেছিল, ভ্যাকসিন এ দেশে আসবে না। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে; এখন তারা টিকা নিয়ে নেতিবাচক অপপ্রচার চালিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এখনও পৃথিবীর অনেক দেশ করোনার টিকা নিতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্য ও সেরা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হয়েছে। করোনা মহামারিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মন্ত্রীরা ভ্যাকসিন নিলাম; পরে যেন এই অপপ্রচারকারীরা আবার না বলে যে জনগণকে রেখে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভ্যাকসিন নিয়েছে আগে।
সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজে ভ্যাকসিন নিন, সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখুন; সর্বোপরি জাতিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করুন। কোনো অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
এদিকে টিকা নেওয়ার পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জীবনে অনেক টিকা নিয়েছি। করোনার এ টিকাও আলাদা কিছু না। আমি এখন মহামারি করোনা ফ্লু-মুক্ত; এটা আমার বিশ্বাস। সবাইকে টিকা নিতে হবে। বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সকলের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া উচিৎ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কর্মসূচির উদ্বোধনের পর ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা নেন তারা।
রোববার মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেন তিনি।
এছাড়া কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল করোনার টিকা নেন।
সচিবদের মধ্যে টিকা নেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
এসএইচআর/এইউ/এফআর