মাদক নির্মূলে সব পর্যায়ে ডোপ টেস্ট গতিশীল করতে পৃথক ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠন চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বেশ কিছু সেক্টরে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা চাই ব্যাপক পরিসরে সব সেক্টরে এটা চালু করা হোক। বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডোপ টেস্টের কাজটি করছে। 

তিনি বলেন,  আমরা চাই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মতো ডোপ টেস্টের জন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচাতে হলে মাদক নির্মূলের কোনো বিকল্প নেই। মাদক নির্মূলে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ঐক্যমত্যের কথাও বলেন।  

ডোপ টেস্টের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হলেও এটি পুরোপুরি গতি পায়নি বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার কিট সংকটের আলোচনাও হয়। পরে বৈঠকে ডোপ টেস্ট করার কিট পর্যাপ্ত সংখ্যক সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে যুযোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আরও দক্ষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয়, কেবল নির্বাচন আর দুর্যোগের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ বাহিনীকে ব্যবহার না করে তাদের সার্বক্ষণিক কাজে লাগানো দরকার।

এ বিষয়ে সভাপতি বলেন, আমরা আনসার-ভিডিপিকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে বলেছি, যেন তারা স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশ প্রশাসনকে পুরোপুরি সহযোগিতা করতে পারে। মাদক-জঙ্গি দমনের পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের তালিমের নামে গোপন বৈঠকের তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জেলা পর্যায়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সার্বিক কার্যক্রম মাধ্যমে উপস্থাপনের ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।

সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও রুমানা আলী।

এইউএ/আরএইচ