তেল চুরির অপরাধে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া  হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম (পূর্বাচল) রেলওয়ে কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান চালায়।  অভিযানকালে রেল কর্তৃপক্ষ দুদক টিমকে এসব তথ্য জানায়। তবে শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেনি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহীর বিরুদ্ধে ট্যাংকার ওয়াগন থেকে তেল চুরি ও ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে দুদকের চট্টগ্রাম-১ অফিসের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

অভিযানকালে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় রেলওয়ের চিফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলামকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক জানায়, অভিযানকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুদক টিমকে জানায়, তেল চুরির বিষয়ে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, সিজিপি ওয়াই চৌকি, চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় চট্টগ্রাম (পূর্বাচল) রেলওয়ের চিফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলামকে ব্যবস্থা নিতে বলে এনফোর্সমেন্ট টিম। 

এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানা গেছে। 

এছাড়া ঢাকার উত্তরা বিআরটিএর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও মালিকানা পরিবর্তন বাবদ ঘুস গ্রহণের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ ও আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

আরএম/এইচকে