জাতীয় নারী নীতিমালা-২০০৮ দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে গ্রীন বাংল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন নামে একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে থেকে এ দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও ১৮৯ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন করা; সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা; নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে; নারীদের অর্থনৈতিক কাজের মূল্যায়ন করা; নারীবান্ধব আইন বাস্তবায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা।

সমাবেশ গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, অর্থনীতিকে সচল রাখা, দেশকে স্বনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে আছে শ্রমজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। যেখানে নারী শ্রমিকের অংশ ক্রমশ বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অ-প্রাতিষ্ঠানিক উভয়খাতে নারীশ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও কর্মস্থলে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায়নি। প্রতিরোধ করা যায়নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। অথচ কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্ট সকল প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন; যা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশে অন্যরা বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, সম্পত্তিতে মালিকানা, ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে। জেন্ডার বৈষম্যের সবচেয়ে নির্মম বহিঃপ্রকাশ নারী ও কন্যাশিশুর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা; যা সার্বিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ ঘরে, বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনে ভয়াবহ মাত্রা ধারণ করেছে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সুইটি, মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম প্রমুখ।

এমএইচএন/এনএফ