অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের কর্তব্য হলো অবিলম্বে একটি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে জনগণের কেড়ে নেওয়া অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছে গণফোরাম।
শনিবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একা নির্বাচন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং বিধিবন্ধ কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন যতই চেষ্টা করুক না কেন নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই সব স্টেকহোল্ডার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানেনি, কথা শোনেনি। শুনেছে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের কথা। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানেন তারা মাত্র তিনমাসের জন্য হায়ারে নির্বাচনের কমিশনের মাঠে গেছেন চলমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে। তিন মাস পরে তাদেরকে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই এবং তাদের নির্দেশেই চাকরি করতে হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনারদের তারা তোয়াক্কা করে না।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচনকালীন সময় দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ বা কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি, হবে না। নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক তারা কার্যত কিছুই করতে পারেনি। সেজন্য দেশে আজ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে নয়, ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঘোরতর অনিয়ম, দিনের ভোট রাতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আধিক্যের দৃষ্টান্ত থাকলেও সংবিধান বিধি লঙ্ঘন করে যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করেননি। বরং নির্লজ্জভাবে বলেছেন, নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, অন্যান্যদের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, আইয়ুব খান ফারুক প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস