যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিল ও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্বদেশ গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন ও চার দফা দাবি জানিয়েছে ঐক্য ন্যাপ ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (ইনসাব)।

শনিবার (৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা পত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অলক দাসগুপ্ত। সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ।

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জয়ন্তী রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য (ভার্চুয়াল), সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সদস্য-সচিব ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাসদ এর স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা রঞ্জিত কুমার সাহা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের (ইনসাব) কার্যকরী সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মহানগর নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ। 

সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন,  মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেও আমরা পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের নিমূর্ল করতে পারিনি। রাষ্ট্রের রন্ধে রন্ধে পাকিস্তানের আয়ুব-ইয়াহিয়ার দানবেরা বসে আছে এখনো। এরা বাংলা আর বাংলাদেশ বুঝে না, এরা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত, এরা মানুষকে শোষণ করে বিদেশে অর্থ পাচার করে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে ইন্ধন দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃতি করে। মানুষের উপর ধাপে ধাপে এরা খাদ্যদ্রব্যসহ সকল নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষকে নিঃস্ব করে চলেছে। রাষ্ট্র এখন মাফিয়াদের খপ্পরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ আর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিল করে সব ধারণের রাষ্ট্রীয় অপচয় লুণ্ঠন বন্ধ করার উদ্যোগী হোন। মানুষ আপনার পাশে থাকবে।

ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, আমরা বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই, সাম্প্রদায়িকতা জাঙ্গিবাদমুক্ত স্বদেশ চাই। সরকার প্রশাসন থেকে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত দেখতে চাই, তবেই জনবান্ধব রাষ্ট্র গড়ে উঠবে।

সভাপতির বক্তব্যে জয়ন্তী রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে সামনে আনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুপ্রতীম দেশসহ যাদের যে অবদান সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাম্প্রদায়িকতার কবল থেকে মুক্ত রাখতে হবে।